নিজস্ব প্রতিবেদক: শুধু নিম্নবিত্ত নয়, করোনাকালীন মধ্যবিত্তরা আসছেন সরকারের ত্রাণ সহযোগিতায়। মহামারির এ সময়ে খাদ্য সঙ্কটে থাকা কেউ ৩৩৩ নম্বরে কল দিলে তার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে খাবার।
রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। এ সময় দেশে খাদ্য মজুদে ঘাটতি থাকলেও ত্রাণ সঙ্কট হবে না বলে জানায় ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ। লকডাউনে গার্মেন্টস শিল্পকারখানা খোলা থাকলেও সার্বিক সঙ্কট কঠিন করে তুলছে প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রা। পথেঘাটে বাড়ছে কাজের খোঁজে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা।
এ অবস্থায় রোববার দুপুরে ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কর্মহীন মানুষের মানবিক সহযোগিতায় এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরফলে উপকৃত হবে ১ কোটি ২৪ লাখ পরিবার। তাদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তের জন্যও থাকছে খাদ্য সহযোগিতা।
প্রথম ঢেউয়ের সময় বরাদ্দকৃত অর্থ নিয়ে নয় ছয় হলেও এবার শুরু থেকেই সতর্ক আছে সরকার। সরকারি গুদামে এখন পর্যন্ত মজুদ কম থাকলেও আমদানি করা খাদ্য দেশে এসে পৌঁছালে কোন সঙ্কট হবে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তবে শিল্পকারখানা খোলা আছে বলে এ বছর কর্মহীন মানুষের সংখ্যা কম বলে জানান ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ৩৫ লাখ পরিবারকে এবছরও আড়াই হাজার টাকা করে সহযোগিতা দেয়া হবে।