নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ১৭ হাজার ২৯৯ কোটি ৪৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।
মঙ্গলবার সংসদের বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০২৩’ উত্থাপন করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। সরকারের যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তাদের মূল বরাদ্দের থেকে বেশি ব্যয় করেছে তার অনুমোদন দিতেই এ বাজেট পাস হয়।
আগামী ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের কার্যক্রম নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুরিকৃত অর্থের বেশি বরাদ্দ ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য এ সম্পূরক বিল আনা হয়।
বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে ৬২টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুকূলে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।
সংশোধিত বাজেটে ২২টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের বরাদ্দ এক লাখ এক হাজার ২৫৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৪০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের বরাদ্দ ৪২ হাজার ৩২৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা হ্রাস পেয়েছে।
সার্বিকভাবে ১৭ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা কমে সংশোধিত বরাদ্দ নিট দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।
সম্পূরক বাজেটে কৃষি মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৫৮৫ কোটি ৪১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। আর সবচেয়ে কম ২৪ কোটি ৭৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সম্পূরক বাজেটে ২০টি দাবির বিপরীতে ১৬৩টি ছাটাই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ১০ জন সংসদ সদস্য ছাটাই প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মুজিবুল হক, বেগম রওশন আরা মান্নান, পীর ফজলুর রহমান, কাজী ফিরোজ রশীদ, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, মো. রুস্তম আলী ফরাজী, গণফোরামের মোকাব্বির খান ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।
২০টি দাবির মধ্যে তিনটির বিষয়ে আলোচনা হয়। সেগুলো হলো- জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, কৃষি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করেন।
গত ১ জুন আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পেশের সময় চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটও পেশ করা হয়।