সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে ধুমধাম করে চলছিল বিয়ের প্রস্তুতি, তৈরী ছিল গেইট-প্যান্ডেল, রান্না-বান্না শেষ, বরযাত্রীসহ আমন্ত্রিত মেহমানরা আসার অপেক্ষায়। এরইমধ্যে থানায় খবর যায় কনের বয়স ১৫। খবর পেয়ে ওসির হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ করে আটক করা হয়েছে বর-কনে ও বরের পিতাকে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বরকে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করে কনে ও তার মাকে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আটিগ্রাম এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, সিদ্ধিরগঞ্জ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভুমি) রেজা মো: গোলাম মাসুম প্রধানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত এ কারাদন্ড প্রদান করেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত বর রজব আলী (২৮) যশোহর জেলার শারশা থানার বহিলাভোতা এলাকার রমজান আলীর ছেলে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের আটিগ্রাম এলাকাস্থ শীতলক্ষ্যা নদীরপাড়ে ড্রেজারের মিস্ত্রি। আর কনে আমেনা ভোলা জেলা সদরের কালিকানগর এলাকার মৃত হারুন মিয়ার মেয়ে। সে তার মায়ের সাথে সিদ্ধিরগঞ্জের আটিগ্রাম এলাকায় আমিরের বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানায়, ১৫ বছরের অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক একটি মেয়ের বিয়ে হচ্ছে জানতে পেরে উপ-পরিদর্শক জয়নালসহ ফোর্স পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বর-কনে এবং বরের বাবা ও কনের মাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সে এর আগেও দুইটি বিয়ে করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি এবং তার একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু সে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর অনুমতি না নিয়েই একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে তৃতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছিল।
সিদ্ধিরগঞ্জ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভুমি) রেজা মো: গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রেখে অপ্রাপ্ত বয়স্ক নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করার চেষ্টার কারনে বরকে একমাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। কনে ও তার মা তাদের ভুল স্বীকার করায় তাদেরকে মুচলোকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর বরের বাবাকে তার ভুল সুদরানোর জন্য ১৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হবে।