আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন আজ। শেষ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন জমা দিচ্ছে প্রার্থীরা। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী এবং আওতাধীন সকল ওয়ার্ডের কান্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকেই আসতে থাকেন প্রার্থীরা।
সকাল সাড়ে ১১টায় মনোনয়ন জমা দেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী এবং দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ।
মনোনয়ন জমা দিয়ে তিনি সংবাদিকদের বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ভোট ডাকাতি হয়েছে। এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটা জনগণ বিশ্বাস করে না। নির্বাচনের ন্যূনতম পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। এ নির্বাচন কমিশনের প্রতি ন্যূনতম আস্থা অর্জিত হয়নি আমাদের।
নির্বাচন কমিশন চাইলে ইভিএম দিয়েও স্বচ্ছ করতে পারে, আবার ইভিএম ছাড়াও নির্বাচন স্বচ্ছ করতে পারে।
এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে আমাদের শঙ্কা রয়েছে। তবুও জনগণকে নিয়ে যেহেতু আমরা রাজনীতি করি, তাই আমরা এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।
দুপুর সোয়া ১২টায় মনোনয়ন জমা দেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। জমাদান শেষে তিনি বলেন, আমি আমরা মনে করি আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। যে কোন নির্বাচনে হার জিত থাকে। আমি আগে বিজিএমইএ এর প্রেডিডেন্ট ছিলাম। সেখানে নির্বাচন করতে গিয়ে কোন সময় হেরেছি, কোন সময় জিতেছি, এটাই বাস্তবতা। আমরা কখনো মাঝপথে গিয়ে নির্বাচন বর্জন করিনি। সবাইকে অনুরোধ করবো একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য।
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের তাপস বলেন, ‘আশা করি আগামী বছর ঢাকাবাসীর জন্য একটি নবসূচনা করতে পারব। আমাদের অনেক করণীয় রয়েছে। প্রথমত দীর্ঘদিন ঢাকাবাসী যে বঞ্চিত অবহেলিত নাগরিক সুবিধা থেকে, সেটাকে আমরা মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করব। যদি ঢাকাবাসী আমাকে জয়ী করেন, সেবা করার সুযোগ দেন, ঢাকাবাসীর মৌলিক নাগরিক সুবিধাগুলো নিশ্চিত করাই আমার প্রধান কাজ হবে।’