মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর শেরপুরের শ্রীবরদীতে মুচির কাজ করে সংসারের হালধরা সংখ্যালঘু পরিবারের শিশু রোকন রবিদাস (১০) ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার। ১৪ এপ্রিল বুধবার উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের ঝগড়ারচর বাজারে ফুটপাতে বসে মুচির কাজ করা ওই শিশু রোকনের হাতে স্কুল ব্যাগ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীসহ শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেন ইউএও। ওইসময় তিনি তার পরিবারের হাতে নগদ ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই সহায়তা দেওয়া হয়। ওইসময় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীসহ আর্থিক সহায়তা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন রোকনের পরিবার। রোকনের বাবা সাদুয়া রবিদাস বলেন, ‘ইউএনও স্যার ভালা মানুষ। আমার পোলাডারে পড়ালেহার সহায়তা করছে। আমগোরেও সহায়তা দিছে। দোয়া করি ইউএও স্যার যেন আরও বড় অফিসার অয়।’ এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তার বলেন, ওই খবরের মাধ্যমে জানতে পারলাম শিশু রোকনের বাবা অসুস্থ্য।
তার মা আর ভাই বোনের খাবার জোগার করতে মুচির কাজ করে। এ দুরাবস্থা জেনে নিজে থেকেই সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছি।তিনি ওই শিশুকে পড়ালেখা পরামর্শ দিয়ে বলেন, এই সংকটময় সময় পার করে তারা যাতে নতুন করে স্বপ্ন দেখে। যেন ভালভাবে পড়ালেখা করতে পারে। এ জন্য ওই শিশুর খোঁজ খবর নিবেন বলেও তিনি জানান।
এছাড়াও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে ইউএনও নিলুফা আক্তার বলেন, এসব ব্যাপারে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার।
উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল সোমবার বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘শেরপুরে কিশোর রোকনের স্বপ্ন জুতার কালিতে ঢাকা !’ এ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদটি ভাইরাল হয় ফেইসবুকেও। ইউএও এর এমন উদ্যোগকে প্রশংসা করে তিনি মানবিকতার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় সচেতন মহলের অনেকেই।