শেরপুরে চাকুরীর প্রলোভনে কিশোরীকে পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগ: গ্রেফতার -১

শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরের শ্রীবরদীতে চাকুরীর প্রলোভনে এক কিশোরীকে পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের কাকিলাকুড়া গেরামারা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রঞ্জু মিয়া (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রঞ্জু মিয়া চেঙ্গুরতার গ্রামের আ: বারেক ওরফে দুধা মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে রঞ্জু মিয়াসহ ৩জন এজাহার নামীয় এবং ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীর পিতার প্রায় দুই বছর পূর্বে মারা যায়। পিতা না থাকায় সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকে। কিশোরীর মা চায়ের দোকান করে জীবিকার ব্যবস্থা করে আসছে। ২৮ মার্চ সংসারে অভাব অনটন নিয়ে কিশোরীর মায়ের সঙ্গে কিশোরীর ঝগড়া হয়। কিশোরীকে স্বাধীন, রঞ্জু মিয়া ও মুরাদুজ্জামান ওরফে ফুডা মিয়া চাকুরীর কথা বলে ২৮ মার্চ বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পরে ময়মনসিংহ নিয়ে অজ্ঞাতনামা বাড়িতে রেখে চলে আসে। ওই বাড়ীতে থাকা একজন মহিলা কিশোরীকে দেহ ব্যবসা করার জন্য চাপ ও প্রলোভন দেখায়। কিশোরী কান্নাকাটি করায় এবং দেহ ব্যবসায় রাজি না হওয়ায় ৩১ মার্চ ওই মহিলা ও কয়েকজন কিশোরীকে শেরপুর গামী সোনার বাংলা বাসে তুলে দেয়। কিশোরী শেরপুর এসে সিএনজি করে শ্রীবরদী এবং পরে অটোরিক্সা করে বাড়ীতে আসে। কিশোরীর মা কোথায় গিয়েছিল জিজ্ঞাসা করলে কিশোরী সব বিষয় খুলে বলে। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্বাধীনের পিতা মুছাসহ এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজন কিশোরী ও তার মাকে চাপ সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ের ০৭ এপ্রিল রাতে পুলিশ সংবাদ পেয়ে রঞ্জু মিয়াকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোখলেছুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৮(২)/১১ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রঞ্জু মিয়াকে গ্রেফতার করা হরা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title