মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও এখন পর্যন্ত (রাত সাড়ে ১১টা) ৫ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুবোঝাই জাহাজের ধাক্কায় যাত্রী বোঝাই লঞ্চ ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে। নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল কাজ শুরু করেছে। এ ঘটনায় ৫ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী লঞ্চের যাত্রী আবুল কালাম জানান, সন্ধ্যা প্রায় ৬টায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এম এল রাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। প্রায় ১৫ মিনিট পর লঞ্চটি বন্দর থানার মদনগঞ্জে নির্মাণাধীন শীতলক্ষ্যা সেতু-৩ এর নিকট পৌছালে পেছন থেকে একটি বালুবোঝাই জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দিলে সাথে সাথে নদীতে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর পরই বালুবোঝাই জাহাজটি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
দুর্ঘটনায় লঞ্চটি নিমজ্জিত হলে ১৫/২০জন যাত্রী সাঁতরিয়ে তীরে উঠলেও ভেতরে থাকা যাত্রীদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা বলা যাচ্ছে না। এদিকে খবর পেয়ে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থল পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে বন্দরসহ নৌপুলিশের সদস্যরাও রয়েছে। তবে রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঝড়ের কারণে উদ্ধারকারী দল লঞ্চটির অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি।
লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান জানান, সন্ধ্যা ৬টায় নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চটি জাহাজের ধাক্কায় নিমজ্জিত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা পরপরই জাহাজটি পালিয়ে যায়। লঞ্চটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল। অপর দিকে নারায়ণগঞ্জ নৌ-পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা জানান, শীতলক্ষ্যা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার পর নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। রাত ৮ টা পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।