শিগগিরই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে ডিএনসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন শিগগিরই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার রাজধানীতে বনানীর বিটিসিএল (টিএন্ডটি) খেলার মাঠে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় বিডি ক্লিন আয়োজিত ‘সেভ আর্থ, সেভ বাংলাদেশ’ শীর্ষক জনসচেতনতামূলক প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

পরে মন্ত্রী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার সারাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়িত হলে দেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শিগগিরই শুরু করতে যাচ্ছে। আর গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও খুলনাসহ সকল সিটি করপোরেশন, বিভাগীয় শহর, জেলা, পৌরসভা এমনকি উপজেলা পরযায়ে বর্জ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার খালগুলো দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, চারপাশে নদীগুলোর খনন ও সংস্কার করে নৌ চলাচল উপযোগী এবং পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি বাসযোগ্য শহর গড়তে ঢাকার দুই মেয়রসহ সবাই নিরলসভাবে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সিটি করপোরেশন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। এই সংস্থাকে সহযোগিতা করা নাগরিকদের দায়িত্ব। যত্রতত্র বিড়ি-সিগারেটের খোসা ফেললে মাটির গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি নিজের বাসাবাড়িসহ আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশন দূষণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। খাল বিল, নদী-নালা রক্ষা করতে হবে।

তামাক পণ্য গ্রহণে কোন উপকার আছে তা কেউ প্রমাণ করতে পারেনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কোনো গবেষণায় এটা উঠে আসেনি। এটা মানুষ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সিগারেটের ফিল্টারের কাগজ তৈরিতে মিলিয়ন মিলিয়ন গাছ কেটে ফেলা হয়। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে প্রাকৃতিক বিপরর্যময় সৃষ্টি হচ্ছে। তাই তামাক জাতীয় পণ্য সেবন থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সকল চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা তৈরির মাধ্যমে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান আমলের ১২৫ ডলারের মাথাপিছু আয়ের দেশ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের কারণে দুই হাজরা পাঁচশো ৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে।

ভালো কাজ করতে গেলে চ্যালেঞ্জ আসবে মন্তব্য করে তাজুল ইসলাম বলেন, নতুন বছরে আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা মানুষের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আর তা বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে সকল কিছুতে মানুষের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন ক্যারিশম্যাটিক লিডার। তিনি জানতে এবং বুঝতেন বাংলাদেশকে দমিয়ে রাখা যাবে না। এদেশ একদিন উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত হবে। আজ সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভবিষ্যৎ বাণী সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এসএম শরিফ উল ইসলাম, ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাসির, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন বক্তব্য রাখেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title