ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী : পুলিশের নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রাজশাহীতে ধূমপান প্রতিরোধে ‘পুলিশ সদস্যদের করনীয়’ শীর্ষক সচেতনতামূলক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকালে উন্নয়ন সংস্থা ‘এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র কর্মকর্তারা রাজশাহী পুলিশ লাইন্সের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘ধূমপান ও মাদকাসক্তি প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালায়’ এই সেশন পরিচালনা করেন।
এর আগে বৃস্পতিবার সকালে কনস্টেবল হতে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদা পর্যন্ত প্রায় ৫০ পুলিশ সদস্যের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ। পুলিশ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে করনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রাজশাহী বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. নজরুল ইসলাম। এর আগে ‘ধূমপান ও মাদকাসক্তি প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেশন পরিচালনা করেন মো. শহিদুল্লাহ।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ এবং তামাকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের মাঝে আলোচনা উপস্থাপন করেন এসিডির এডভোকেসি অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম শামীম। এসময় সংস্থাটির প্রোগ্রাম অফিসার কৃষ্ণা রাণী বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে এসিডির এডভোকেসি অফিসার শামীম বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি বাস্তবায়নে আপনাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান বন্ধে পুলিশ প্রশাসনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই সাথে বিভিন্ন তামাক কোম্পানির অবৈধ বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে আপনারা মূল্যবান পদক্ষেপ নিতে পারেন।’
তিনি বলেন ‘তামাকজনিত রোগে বছরে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। এছাড়া তামাক সেবনের ফলে কয়েক লাখ মানুষ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে হাসপাতালে শয্যাশায়ী।’ এজন্য তিনি কর্মশালায় জনগণের জানমাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ধূমপান প্রতিরোধে পুলিশ সদস্যদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান।