পশ্চিমাঞ্চল রেলের দেয়া তথ্য মতে, পূর্ব ঘোষণা অনুসারে ৫ জুন বিকেল ৪টায় ঢাকার উদ্দেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে রওনা দেয়র মধ্য দিয়ে পণ্যবাহী এই ট্রেনটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
এ সময় চাঁপাইনবাগঞ্জ স্টেশনে ১হাজার কেজি আম তোলা হয়। এর পর কাকনহাট স্টেশনে ৪০০ কেজি, রাজশাহী স্টেশনে ২ হাজার ৬৯৫ কেজি ও সারদা স্টেশনে ৫০০ কেজি, আড়ানী স্টেশন থেকে ১ হাজার ১১০ কেজি ও আব্দুলপুর থেকে ৪হাজার ৩১০ কেজি আম ও লিচুসহ প্রয়োজনী বৈধ মালামাল তোলা হয়। পণ্যগুলো পরিবহণবাবদ রেল আয় করে ১২ হাজার ১শ ৬৮ টাকা।
ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছোবে রাত ১টায়। এদিকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে ‘ম্যাংগো স্পেশান’ ট্রেনটি রাত্রি ২টা ১৫ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে এসে পৌছাবে সকাল ৮ টা ৩৫ মিনিটে। ২০ মিনিট যাত্রা বিরতির পর ৮টা ৫৫ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলের ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার (পাকশি) বলে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে উত্তরবঙ্গের আম-লিচুসহ কৃষি ব্যবসায়ীরা যাতে ক্ষতির মুখে না পড়ে সেই বিবেচনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা রুটে পণ্যবাহী ট্রেন চালু করা হয়েছে। এই ট্রেনে অত্যন্ত কম খরচে কৃষিপণ্যসহ বৈধ মালামাল ঢাকা অঞ্চরে নিয়ে যাওয়া যাবে। কুরিয়ার সার্ভিসে যেখানে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজিতে আম-লিচুসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়, সেখানে বাংলাদেশ রেল কৃষকদের সুবিধার্থে ভর্তুকি দিয়ে তাদের পণ্য ঢাকায় পাঠানেরা ব্যবস্থা করেছেন। ম্যাংগো স্টেশাল ট্রেনের মাধ্যমে প্রতি কেজি আম ঢাকায় পাঠাতে স্টেশনের দূরত্ব ভেদে ভাড়া পড়বে সর্বনিম্ন ১ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৩০ পয়সা।
রেলের এই কর্মকর্তা আরো জানান, স্টেশনে পণ্য নামার পর কুলিরা যাতে সমস্যা সৃষ্টি না করে সেই জন্য তাদের সাথে বসা হয়েছে। তারা সহযোগীতা করবে বলেছে। প্রতি কেরেট আম বা লিচু ট্রেন থেকে নামিয়ে স্টেশনের দরজা পর্যন্ত পৌছে দিতে তারা ১০ টাকা নেবে। প্রতি কেরেটে থাকে প্রায় ২৫ কেজি আম।