অনলাইন ডেস্ক: বেলারুশে অনুষ্ঠিত দুই পক্ষের আলোচনার বাইরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাাদিমির পুতিন গত রবিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে ফোনে আলাপে যুদ্ধ বন্ধে তিনটি শর্ত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের পশ্চিমা স্বীকৃতি এবং ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা যুদ্ধ শেষ করার পূর্বশর্ত।
ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা বলতে পুতিন দৃশ্যত দেশটির ন্যাটো তথা পশ্চিমমুখিনতা ত্যাগের কথাই বোঝাচ্ছেন।
ইউক্রেন সংকট ঘনিয়ে আসার পর থেকেই মধ্যস্থতার উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ।
রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন জোর দিয়ে বলেছেন রাশিয়ার নিজের নিরাপত্তাগত স্বার্থ নিঃশর্তভাবে বিবেচনায় নেওয়া হলেই কেবল যুদ্ধের নিষ্পত্তি সম্ভব।
এদিকে আরেক ঘটনায় ক্রেমলিন জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং অন্যদের মন্তব্যের কারণেই পুতিন রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র ব্যবস্থাকে ‘বিশেষ সতর্কতার’ মধ্যে রেখেছেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা নিয়ে ন্যাটো ও মস্কোর মধ্যে সম্ভাব্য ‘সংঘর্ষ’ সম্পর্কে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মন্তব্য করা হয়েছে। লিজ ট্রাসের কোন মন্তব্যে রাশিয়া আপত্তি তুলল তা স্পষ্ট নয়। তবে রবিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, রাশিয়াকে থামানো না হলে অন্য দেশগুলোও হুমকির সম্মুখীন হতে পারে এবং এর জেরে ন্যাটোর সঙ্গে সংঘাত হতে পারে। সূত্র: বিবিসি, এএফপি।