সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় জননেতা লিয়াকত হোসেন খোকা।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক ঝাকঝমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০০ টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে গৃহের চাবি ও জমির কাগজ হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ভূমিহীন-গৃহহীনদের একটি সুন্দর ঘরের স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপে প্রায় ৭০ হাজার পরিবার পেলো একটি আধাপাকা বাড়ি। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এসব ঘর ও জমি দেওয়া হয়। এক সঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে বিনামূল্যে ঘর করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বে অন্যন্য নজির সৃষ্টির করলো বাংলাদেশ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মুজিববর্ষ ঘোষণা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না, এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের অধীনে চলমান কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে সারাদেশে ঘর পেলো ৬৯ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন, দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর করে দিতে এখন পর্যন্ত প্রায় নয় লাখ পরিবারকে তালিকাভূক্ত করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ৬৯ হাজার ৯০৪ পরিবারের মধ্যে ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ খাস জমির মালিকানা দিয়ে বিনা পয়সায় দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘর মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একইসঙ্গে ব্যারাকের মাধ্যমে ২১টি জেলার ৩৬টি উপজেলায় ৪৪ প্রকল্পের মাধ্যমে তিন হাজার ৭১৫টি পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হয়।
সোনারগাঁ উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় মানুষদের মধ্যে যাদের ভূমি নেই তাদের সরকারের খাস জমি থেকে দুই শতাংশ ভিটে এবং ঘর দিচ্ছে সরকার। যাদের ভিটে আছে ঘর নেই তাদের ঘর দিচ্ছে সরকার। প্রতিটি ঘর দুই কক্ষ বিশিষ্ট। এতে দুটি রুম ছাড়াও সামনে একটি বারান্দা, একটি টয়লেট, একটি রান্নাঘর এবং একটি খোলা জায়গা থাকবে। এছাড়াও প্রতি পরিবারকে ঘরটি নির্মাণের জন্য খরচ হবে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা এবং মালামাল পরিবহনের জন্য চার হাজার টাকা দেওয়া হবে।