বিশেষ প্রতিনিধি : মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা এবং সৎ সাহস দিয়ে কোনো কাজ শুরু করা যায়, কিন্তু সেই কাজ এগিয়ে নিতে প্রয়োজন হয় শক্তি’র। সাহস আর শক্তিকে একত্রিত করে আর্তমানবতার সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে করোনা কালীন সময়ে কিছু উদ্যমী তরুনের গড়ে তোলা সংগঠন “রিক্ত ” যার স্লোগান হচ্ছে -“সকল মানুষ বেচে থাকুক সকল মানুষের ভালবাসায়” । বর্তমান করোনা মহামারি ক্রান্তিকালে, সবাই যখন ঘরবন্দী ঠিক সেই সময় নিরন্ন মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর লক্ষ্যে “রিক্ত” নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ শুরু করে।
করোনার ক্রান্তিকালে সবাই যখন ঘরবন্দি ঠিক তখন সংগঠনটির সদস্যরা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে রিক্সাচালক সহ নিম্ন আয়ের লোকদের খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছে। যাদেরকে সমাজ “দিনমজুর” বলে সম্বোধন করছে, “রিক্ত” তাদেরকে “ভালবাসার মানুষ ” বলে খাবার সামগ্রী তুলে দিচ্ছে হাতে। আবার প্রয়োজন অনুযায়ী নগদ টাকা দিচ্ছে কাউকে কাউকে। আবার চুপি চুপি পরিস্থিতির শিকার “মধ্যবিত্ত” পরিবারের দরজায় খাবার রেখে বাইরে এসে ফোন করে বলছে “আপনার দরজা খুলে দেখুন, খাদ্য সামগ্রী রাখা আছে”। অল্পদিনেই এই সংগঠনের কার্যক্রম প্রশংসার যোগ্য।
সংগঠনটি সদস্যরা জানায়, সামাজিক সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে মধ্যবিত্তদের সাহায্যের কথা তারা ভাইরাল করে না। তাদের তথ্য মতে “রিক্ত” নামের পেইজে সারাদেশ থেকে রিকোয়েস্ট আসে সহযোগীতার জন্য।যাদের মধ্যে মধ্যবিত্ত ই বেশী। এ বিষয়ে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সিফাতুল ইসলাম প্রান্ত বলেন, লকডাউন এর কারণে সারাদেশের নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যেবিত্ত পরিবার গুলো প্রচুর আতঙ্কে আছে , তাই আমরা সাধ্যমতো খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। এগুলো তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে তারা তাদের সেহরি ও ইফতারের কার্যক্রম চালু করেছি। যেখানে প্রতিদিন ২০০ এর বেশি মানুষ সেহরি ও ইফতার করেন। সেহরি ও ইফতারের কার্যক্রম সারা মাসব্যাপী চালু থাকবে বলে জানান তিনি। আসন্ন ঈদ -উল-ফিতর নিয়ে আলাদা আঙ্গিকে তাদের খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানায়-সিফাতুল ইসলাম প্রান্ত । সর্বোপরি, রিক্ত দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করতে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সাধ্যানুযায়ী মানুষের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানায় সংগঠনটি । সংগঠনটি সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন – https://www.facebook.com/রিক্ত-102036154833980/
বাড়িয়ে বলা বন্ধ করুন