ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার আসামী হিসাবে করা হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল ঢাকার উত্তরা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আটক করে। এসময় সোহাগ নামের এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান ছাত্রলীগ সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমের গ্রেপ্তারের খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং ঘটনায় সিআইডি ঢাকার কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধালন সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পরবর্তীতে আটক করা হয় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল হাসান লেভী, জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন ও শহর যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহানকে। মানি লন্ডারিং মামলায় আসামী হিসাবে সিআইডি ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে গ্রেপ্তার করে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান জানান, ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরীর দায়ের করা চাঁদাবাজী মামলার পর থেকে নিশান মাহমুদ শামীম পলাতক ছিল। মানি লন্ডারিং মামলায় সে গ্রেপ্তার হলেও চাঁদাবাজী মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। শামীমকে ফরিদপুরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল সাহার বাড়ীতে হামলা ও মানি লন্ডারিং মামলায় জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৭ জন নেতা-কর্মীকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের এই তালিকায় রয়েছে আরো অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী।