মামুনুর রশিদ: সমাজের এক শ্রেণীর পেশাদার রয়েছে যারা ময়লা কাপড় পরিধান করে নিজেকে পাগল সাজিয়ে তুলে ধরতে অভ্যস্ত। একটি শ্রেণীর মানুষ রয়েছে যারা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ হয়ে যেমন খুশী তেমন চলাফেরা করে থাকে। এদের কিছু দেওয়া হলেও তাদের নেওয়ার মত মানসিক অবস্থা নেই। কারন এরা প্রকৃতপক্ষে মানসিক বিকারগ্রস্থ। কিন্তু নিজেকে পাগল সাজিয়ে তুলে ধরার কিছু অভ্যস্তকারীরা সব সময়ে কিছুটা ভিন্নধারার কারন চাওয়া-পাওয়াটাই যাদের কাছে মুখ্য।
প্রকৃতপক্ষে এই দুইয়ের মধ্যে বিন্দুতে রয়েছে অসহায় কিছু পরিবার। যারা চাইতে চায় কিন্ত চাইতে গিয়ে-চাইতে পারছেন না। এমন অসহায় ও দুঃস্থ মানবতার সেবায় যে মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি আর কেউ নয়-ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের কর্ণধর এবং মানবিক চেতনা ধারার একজন মানবিক কবি এসএম হাবিবুর রহমান, আল হাবিব।
কিছু দিন আগের ঘটনাটি দিয়ে শুরু করতে চাই। ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে নিজের অফিস কক্ষে বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন নিয়ে বসে আছেন ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান আল হাবিব। আগন্তক নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলার ফাঁকে সেখানে প্রবেশ করে যুবক বয়সের এক যুবক। চুলগুলো এলোমেলো। পোশাকটাও ছিল বেজায় ময়লা। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপস্থিতিতি ও অফিসের সাধারণ কর্মচারীরা হতবাক। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের আসরে উদ্ভট যুবকের অকস্মাৎ উপস্থিতি সহসায় মেনে নিতে পারছিল না কেউ। ঘুম তন্দ্রা ভেঙ্গে সাধারণ কর্মচারীরা যুবককে ঠেলে বেড় করে দিতে উদ্যত হয়। তাঁর আগেই যুবক চেঁচিয়ে উঠেন ” চেয়ারম্যান সাহেব——আমি দুপুরে ভাত খাব——–আমার টাঁকা দরকার!
আরেকটি ঘটনা উল্লেখ না করলেই ন! পূর্বের ঘটনার অনুরূপ একদিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর কার্যালয়ে আরও একজন যুবক প্রবেশ করে। প্রথমে তাঁর দাবী ছিল ১০০ টাঁকা। টাঁকা পাওয়ার পরে তাঁর দাবী উঠে আমার থাকার কোন ঘর নেই। স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে ভেন্না গাছের ছাউনী ঘরের মত ঘরে আমাকে থাকতে হয়। দোয়া করে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দের একটি ঘর আমাকে দেওয়া হত। আপনার জন্য জীবন ভর আমি দোয়া করতাম।
যতদূর জানা গেছে, উল্লেখিত দুটি ঘটনার প্রথমটিতে সেদিন অনাহারী যুবকের আহারের জন্য টাঁকা তিনি (উপজেলা চেয়ারম্যান) হাতে গুজে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ঘটনায় সরজমিনে ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাড়ি ঘরের চিত্র দেখতে গিয়েছিলেন। এসময় গ্রামবাংলার অসহায় একজন মায়ের সংসার জীবনের বাস্তব চিত্র দেখে কেঁদে উঠেছিল মানবিক চেতনায় অসহায় মানব সেবাকারী ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমানের মানবিক হৃদয় । অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের একটি ঘর ওই যুবক ও তাঁর মাকে দেওয়ার জন্য ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্যর কাছে নিজের থেকে সুপারিশ করেন উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের একটি ঘর ওই যুবকের দিকে তাকিয়ে তাঁর মায়ের নামে দেওয়া হয়। দুঃস্থ পরিবারটি ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপির হাত থেকে ঘরের চাবী গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের উপহারের ঘর পেয়ে খুশীতে আনন্দিত উৎফুল্ল হয়ে ছেলে সন্তান নাতিপুতি নিয়ে বসবাস করছেন একজন অসহায় মমতাময়ী মা।
মানবিক চেতনায় অসহায় মানব সেবায় যিনি দান করেন নীরবে! এমন মানবতার কবির গল্প একটি ক্ষন মুহূর্তে শেষ হওয়ার নয়? ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এসএম হাবিবুর রহমান সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে তাদের সকল নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়মিত খোঁজখবর নিয়ে আসছেন।এলাকার রাস্তাঘাঁট, কালভাট, ব্রিজ সমস্যা সমাধানে সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি হিসাবে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে আজও প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক বিবিধ কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন তিনি। দুটি বিষয় বলতে হচ্ছে, আর্সেনিকমুক্ত পানির জন্য ভাঙ্গায় ছিল মানুষের হাহাকার। সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপির প্রতিনিধি হিসাবে তিনি বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির ও হাটবাজার এলাকায় অসংখ্য আর্সেনিকমুক্ত পানির কল দিয়ে একজন মানবিক চেয়ারম্যান হিসাবে জনগণের কাছে সম্মানিত হয়েছেন।
এছাড়াও তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীর পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, অসহায় পরিবারের মেয়ের বিয়েতে অনুদান, ভাঙ্গার হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলা ফুটবল,ব্যাডমিনটন, দাবা প্রতিযোগিতায় উৎসাহীত করতে তাঁর বিকল্প মেলা ভার। এখানেই শেষ নয়। ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপির আস্থাভাজন প্রতিনিধি হিসাবে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান ভাঙ্গার কলম কলম সৈনিকদের একজন প্রিয় বন্ধু। স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে রয়েছে তাঁর সুসম্পর্ক। সাংবাদিকদের যে কোন ভাল কাজে তিনি সবসময় পাশে থেকে উৎসাহিত করে আসছেন। ভাঙ্গায় একটি প্রেসক্লাব হতে সংসদ সদস্য ও তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
একান্ত সাক্ষাতকারে এসএম হাবিবুর রহমান, আল হাবিব প্রতিবেদকের সাথে আলাপচারিতায় বলেন, মানুষ হচ্ছে আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জীব। মানুষের জন্য মানুষ। একজন মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ কাজ হচ্ছে মানব সেবা। আমার নেতা সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীর নিক্সন এমপির আন্তরিক ভালবাসায় ও আশীর্বাদে জনগণ আমাকে রায় দিয়ে একজন জনপ্রতিনিধি করেছেন। উপজেলা পরিষদে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই আমার মূল কাজ অসহায় মানুষের জন্য কাজ করা। মানুষের জন্য কিছু করার সেই ব্রত লাভ করেছিলাম আমার পরিবার প্রধান আমার শ্রদ্ধীয় পিতার কাছ থেকে। একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে আমি বলতে চাই,আওয়ামীলীগের রাজনীতির একজন কর্মী হিসাবে আমি, আমার নেতা মজিবুর রহমান চৌধুরীর নিক্সন এমপির নির্দেশনায় ভাঙ্গা উপজেলার মানুষের সুখ দুঃখে পাশে থাকাই হচ্ছে আমার রাজনীতির মূল লক্ষ্য। করোনার দ্বিতীয় ধাপে সকলে মাস্ক ব্যবহার ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
বিশেষভাবে এখানে একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়—- ভাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের উপহারের ঘর প্রকৃতপক্ষে যারা ছিন্নমূল, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবার যাদের ঘর নেই, বাড়ি নেই এমন পরিবারকে দেওয়ার জন্য সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীর নিক্সন ও উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান, স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও চেয়ারম্যানদের সাথে সমন্বয় করে নিক্সন সৈনিকদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা ঘুরে ঘুরে তালিকা প্রণয়ন করেন। ভাঙ্গার জনপ্রিয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতাঁর ফলাফল হিসাবে ১২টি ইউনিয়নের ৬ শতাধীক অসহায়, দুঃস্থ, গৃহহারা পরিবার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের উপহারের ঘর পেয়েছেন। যাদের হাসিভরা মুখে ফুটে উঠছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপ্নের সোনার বাংলাদেশ।