ভাস্কর্যের বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক মোল্লারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে অশান্তি সৃষ্টির রাজনীতি করছে

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ভাস্কর্যের বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক মোল্লারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে অশান্তি সৃষ্টির রাজনীতি করছে। ভাস্কর্য বিরোধিতার নামে আসলে সরকার উৎখাতের চক্রান্ত শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধুকে দ্বিতীয়বার হত্যা করছে, দেশে ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

আজ বুধবার ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার হুমকি দিয়ে উত্তেজনা-অশান্তি সৃষ্টিকারীদের আইনের আওয়াতায় আনা এবং ধর্মের অপব্যাখ্যা-ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করার দাবিতে’ এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ইনু বলেন, এই রাজনৈতিক মোল্লারা ধর্মীয় চিন্তাবিদ, আলেম, ওলামা, পীর, ধর্ম প্রচারকারী না, এরা সবাই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা। এরা নির্বাচন করে, ভোটে দাঁড়ায়। এদের নির্বাচনী মার্কা-প্রতীক আছে। এরা পবিত্র ধর্মকে রাজনীতির সাথে মিশিয়ে ধর্মের মনগড়া অপব্যাখ্যা দিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ, গোষ্ঠীস্বার্থের রাজনীতি করে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক মোল্লাদের সামান্য ছাড় দেওয়া, আসকারা দেওয়া, এদের সাথে কোলাকুলি করার কৌশল আত্মঘাতি। সরকারের যে দু-একজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যে দু-একজন নেতা আলোচনার মাধ্যমে ভাস্কর্য নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির অবসান হবে আশা করছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ভাস্কর্যবিরোধীরা জেনেবুঝে পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের চক্রান্তে নেমেছে।

রাজনৈতিক মোল্লাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা রাজনৈতিক মোল্লাদের পিঠ চাপড়াবেন, রাজনৈতিক মোল্লারা সুযোগ পেলেই তাদের ঘাড় মটকে দেবে। এরা ক্ষমার সুযোগ নিয়ে ক্ষমাকারীকে হত্যা করে, গণতন্ত্রের সুযোগ নিয়ে গণতন্ত্রের পিঠে ছোবল হানে। রাজনৈতিক মোল্লারা ওয়াজ-ধর্মসভার নামে নারীবিদ্বেষী ‘তেঁতুলতত্ত্ব’ প্রচার করছে। ‘তেঁতুলতত্ত্ব’ শুধু নারী বিদ্বেষীই না, সংবিধান ও সভ্যতাবিরোধীও।

ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন দলের সহ-সভাপতি সফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের সভাপতি মাইনুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর জাসদের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মুহিবুর রহমান মিহির।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title