বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে সারাদেশে হেলথ এসিস্ট্যান্টদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): নিয়োগবিধি সংশোধনসহ বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) হতে সারাদেশে হেলথ এসিস্ট্যান্টদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে। এ উপলক্ষে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে বৃহস্পতিবার সকালে কর্মবিরতিতে অংশ নেন বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন, স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিদর্শক সমিতি, মাঠ কর্মচারী এসাসিয়েশন ও হেলথ ইন্সপেক্টর সেক্টোরাল এসাসিয়েশনের সদস্যরা।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বিনয় সিং রাউতিয়া জানান, ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকার শেরেবাংরানগরে স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠকর্মচারী এসাসিয়েশনের এক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদার ঘোষণা দিলে দীর্ঘ ২২ বছরেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনাকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হেলথ এসিস্ট্যোন্টদের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে তারও কোন অগ্রগতি নেই। বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতিতপন কুমার শর্মা জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর লিখিত প্রতিশ্রুতি অনুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১১তম গ্রেড, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১২তম গ্রেড এবং স্বাস্থ্য সহকারীদেরকে ১৩তম গ্রেড প্রদান করে নিয়োগবিধি সংশোধনসহ বেতন বৈষম্য নিরসন না করা পর্যন্ত আমাদের অনির্দিষ্টকালে কর্মবিরতি চলছে চলবে।
বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসাসিয়েশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি অমলেশ পুরকায়স্থ বলেন- বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতকে বিশ্বমানে পৌঁছানোর কাজে এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি ও পুরস্কারপ্রাপ্তীতে স্বাস্থ্য সহকারীদের বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন- স্বাস্থ্য সহকারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় স¤প্রসারিত টিকাদান ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ সাফল্যের শীর্ষে। টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের সকল দিক বিবেচনায় তিনি অবিলম্বে তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারে আশু দৃষ্টি কামনা করেন।