নিজস্ব প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ (বাজেট) অধিবেশন আগামী ২ জুন (বুধবার) বিকেল ৫টায় শুরু হবে। বাজেট অধিবেশনের হবে মোট ১২ কার্যদিবসের।
বাজেট উপলক্ষে বেশকিছু কর্মপরিকল্পনা করেছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। এর মধ্যে আছে—সংসদ শুরুর আগ থেকে সংসদ সচিবালয় থেকে এমপিদের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। যাদের করোনা টেস্টে নেগেটিভ আসবে তারাই অনুমতি পাবেন। সব সংসদ সদস্যকে প্রতিদিন অধিবেশনে আসতে হবে না। রোস্টার অুনযায়ী ভিন্ন ভিন্ন দিনে সংসদে আসবেন তারা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এ পদেক্ষপ নেওয়া হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, বয়োজ্যেষ্ঠ ও অসুস্থ এমপিদের সংসদ অধিবেশেনে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তবে কোরাম (৬০-৮০ জনের উপস্থিতি) যেন পূর্ণ হয়, সেভাবে রোস্টার করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্যদের সংসদ ভবনে আসার অনুমতি মিলবে না। দর্শনার্থী ও সাংবাদিকদের সংসদ ভবনে আসার পাস দেওয়া হবে না।
আওয়ামী লীগ সরকারের এটা টানা ১৩তম বাজেট। বর্তমান অর্থমন্ত্রীর তৃতীয় বাজেট পেশ। তুলনামূলক তরুণ এমপিদের সংসদে উপস্থিত হওয়ার জন্য উৎসাহ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর সংস্পর্শে যেতে লাগবে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট। সংসদ চলাকালীন দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হবে।
সংসদে আসা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। পাশাপাশি এমপিদের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। নমুনা পরীক্ষার ফল করোনা নেগেটিভ হলে তারা সংসদে আসতে পারবেন।
সংসদ ভবনে সবার হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হবে। সংসদ অধিবেশন কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলা হবে।
এ বিষয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সংসদ সদস্যদের তালিকা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় যারা করোনা নেগেটিভ হবেন, তারা তালিকা অনুযায়ী সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন। সংসদের আলোচ্য সূচির ওপর বক্তব্য দেবেন, এমন ৮০ থেকে ৯০ জনের তালিকা করা হবে।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক সংসদে আসবেন ২ জুন। এভাবে রোস্টার করা হয়েছে। প্রত্যেক এমপি নির্ধারিত তারিখে আসবেন।
তিনি আরও বলেন, বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে তিন দিন পরপর এমপি-মন্ত্রীদের করোনা টেস্ট করানো হবে। দেশে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেসব এমপি-মন্ত্রীকে সংসদে যেতে হবে তাদের এই টেস্টের ফল দেখিয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশ করতে হবে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, রোস্টার অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা অধিবেশনে যোগ দেবেন। কোরাম সংকট যেন না হয়, সেভাবে রোস্টার করা হয়েছে।