বছরের শুরুতে বাড়লো চাল-ডালের দাম, চড়া শীতের সবজিও

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন বছরের শুরুতেই বাজারে বেড়েছে চাল-ডালের দাম। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে ডিমের দামও। মুরগির দাম কিছুটা কমলেও সেটা নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে। এদিকে বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ ভালো থাকলেও দাম কমেনি সে অনুযায়ী। আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। ফলে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ নিয়ে কমবেশি সবার মাঝে অসন্তোষ আছে।

শনিবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সবজির বাজার

বাজারে এই মুহূর্তে শীতের সবজির আধিক্য রয়েছে। তবে বাজারে শীতের ভরা মৌসুমে সবজির দাম যতটা কমার আশা করা হয় সে অনুযায়ী কমেনি দাম। অনেক সবজির দাম এখনো আগের মতোই চড়া। এ নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ ও হতাশা দেখা গেছে। তারা বলছেন, শীতকাল হলো সবজির মৌসুম। এসময় বাজারে নানান সবজির প্রচুর সরবরাহ থাকে। তবে অনেক সবজির দাম এখনো বছরের অন্য সময়ের মতোই রয়ে গেছে, যা মৌসুমের এই সময়ে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কম আশা করেন তারা। এ ব্যাপারে বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বেশি থাকায় সরবরাহ ভালো থাকলেও কমছে না সবজির দাম।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে, শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।

এছাড়া ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস, আকারভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা দরে।

পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২৩ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে নতুন আলুর দাম। বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে।

শনিবার কাঁচামরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা এবং লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে।

মশলার বাজার

অপরিবর্তিত আছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে। দেশি রসুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এছাড়া দেশি আদা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। চায়না আদা মিলছে ১৪০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। হলুদের কেজি ১৬০ থেকে ২২০ টাকা।

মুদি বাজার

মুদি বাজারে বেড়েছে মুসুর ডালের দাম। দেশি মুসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। একই হারে বেড়েছে ভারতীয় ডালের দাম। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।

এছাড়া প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দরে। আটা ৩৫ টাকা কেজি।

ডিমের বাজার

এ সপ্তাহে বেড়েছে ডিমের দাম। ব্রয়লার মুরগির ডিমের ডজন ৯৫-১০০ টাকা থেকে বেড়ে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা দরে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা ডজন দরে। একই দরে বিক্রি হচ্ছে সোনালি (কক) মুরগির ডিম।

মাংসের বাজার

কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ব্রয়লারের বাজারে। কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা কেজি দরে। ২০ টাকা দাম কমে সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা দরে। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়।

চালের বাজার

কেজিতে এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। দাম বেড়ে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। মিনিকেট চাল ৬৩ থেকে ৬৪ টাকা, আটাশ চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title