বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরের কালশিমাটি থেকে ঝাঁজর খেয়া ঘাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা পুনঃ পাকা করণে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আতাউর রহমান খানের বিরুদ্ধে। উপজেলা প্রকৌশলী নিম্নমানের খোয়া সরিয়ে ফেলে পিকেটের খোয়া ব্যবহার করতে বললেও তা এখনো সরায়নি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এদিকে ওই রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করে পাকাকরণের কাজ করায় চেষ্টায় ফুঁসে উঠে ৫ অক্টোবর সোমবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসি।
জানা যায়, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের গাড়িদহ বেইলী ব্রিজ থেকে খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁজর ঘাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরনের কাজের টেন্ডার পায় মেসার্স আতাউর রহমান খান নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পরে বগুড়ার ঠিকাদার আনোয়ারুল ইসলাম বাবলা, ফিরোজ আহম্মেদ রিজু সহ কয়েকজন তার কাছ থেকে প্রায় ১৪ কোটি টাকার কাজটির সাব-ঠিকাদারী কিনে নেন।
গাড়িদহ ইউনিয়নের কালশিমাটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা নির্মানের জন্য ৩ নাম্বার তথা নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই খোয়া দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করলে এক মাসও টিকবেনা ওই রাস্তা। এমন অবস্থা দেখে অস্বস্থিতে রয়েছেন তারা। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করার কথা শুনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তা অপসারণ করতে বলেছি। এবং ভাল পিকেট নিয়ে এসে খোয়া তৈরী করে রাস্তায় ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। রাস্তার বন্ধের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালশিমাটি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রাস্তা নির্মানের মালামাল রাখায় এলাকাবাসির সাথে একটু ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু তাদের সাথে কথা বলে তার সমাধান করেছেন ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী নুর মোহাম্মাদ জানান, নিম্নমানের খোয়া অপসারণ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। কাজ বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কোন খবর পাইনি।