চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বিএনপির উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পরিবহন নেতারা বলেছেন কোনো ধর্মঘট করবে না। এরপরও এক সপ্তাহ আগে থেকে কাঁথা, বালিশ, কম্বল, লোটা, মশার কয়েল ও তাঁবু টাঙাইয়া তাঁরা শুইয়া আছেন। এই শীতের রাতে এখন টাকার ঢাকা। দুবাইয়ে টাকা, বিদেশের টাকা, লন্ডনি টাকা ফখরুলের কাছে আসে। টাকার বস্তা নিয়ে তিনি সমাবেশ করতে যান। রাজশাহীর সমাবেশ দেখেছি, সেখানে কত লোক হয়েছে? তরঙ্গ না ঢেউ। যা হবে বড় জোড় ১০ হাজার মানুষ হবে। এটা হলো বিএনপি।’
আজ রোববার বিকেলে পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব ও খসরু সাহেব এখানে (পলোগ্রাউন্ডে) দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বলেছেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি, দেখে যান। আজকে চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাসমাবেশ ঘিরে মহাসমুদ্র। সমাবেশের ভেতরে যা লোক আছে তাঁর চেয়ে ৮ গুন বাইরে আছে। দেখে যান জনপ্রিয়তা কাকে বলে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গোটা চট্টগ্রাম আজ মিছিলের নগর। মহাসমুদ্র। কর্ণফুলীর সব ঢেউ আজ পলোগ্রাউন্ডে। বঙ্গোপসাগরের সব ঢেউ আজ পলোগ্রাউন্ডে।
বিএনপির উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, ‘সংশোধন দিবাস্বপ্ন, ভুলে যান, তত্ত্বাবধায়ক ভূত একটা মাথায় আছে। মাথা থেকে নামিয়ে ফেলুন। হবে না। হবে না । হবে না।’
মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, ‘ফখরুল বলেছে সরকারের ঘুম নষ্ট হয়েছে। না, সরকারের ঘুম নষ্ট হয়নি। সরকার রাত জাগছে মানুষকে বাঁচানোর জন্য, গরিবকে বাঁচানোর জন্য। শেখ হাসিনা সারারাত জেগে থাকেন বাংলার মানুষকে বাঁচানোর জন্য। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে গত ৪৭ বছরে ইতিহাসের সবচেয়ে সৎ রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। ৪৭ বছরে জনপ্রিয় নেতা হচ্ছেন শেখ হাসিনা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর পর সবচেয়ে সাহসী ঠিকানা শেখ হাসিনা, সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। মৃত্যুর মিছিলে ও ধ্বংসের স্তুপে দাঁড়িয়ে তিনি বিজয়ের পতাকা উড়ান।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘বিএনপি ১০ ডিসেম্বর সামনে রেখে যে তর্জন গর্জন দিচ্ছেন। আমরা সোজা বলে দিতে চাই, কোনো শান্তি বিঘ্ন হলে তাঁর পরিণতি ভালো হবে না। সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল কিন্তু বাঁকা করা হবে।’
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে চট্টগ্রাম আজ বদলে গেছে। গত ১৪ বছরে লক্ষ কোটি টাকার বেশি চট্টগ্রামে উন্নয়ন হয়েছে। আজ খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না, আজ খালি গায়ে মানুষ দেখা যায় না। এটা ওপর থেকে উড়ে আসেনি। এটা শেখ হাসিনার জাদুর কারণে হয়েছে।’
বিএনপি কর্মসূচির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। ১০ তারিখ ইনশা আল্লাহ এই ঢাকার বুকে তাঁরা আত্মসমর্পণ করবে।
খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। বাংলাদেশ ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত দেশ করা হবে। আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের নেত্রী, বাংলার নেত্রী শেখ হাসিনা ১০ বছর পর চট্টগ্রামে এসেছেন। আমরা আজ আনন্দে উচ্ছ্বসিত। গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জন্য অনেক কাজ করেছেন। এই ঋণ আমরা কখনো শোধ করতে পারব না।’
মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, এই জিয়া পরিবার হলো খুনি পরিবার। রক্তে রঞ্জিত হাত। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। এখন তাঁর পরিবার শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা চেষ্টা করেছে।