অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, প্রশ্ন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার গণভবনে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্রপতি যখন আমাদের সবাইকে সংলাপে ডাকলেন। গেলাম। কিন্তু বিএনপি যায়নি। তারা আসলে যাবেই-বা কী? তারা ক্ষমতায় গেলে কে তাদের প্রধানমন্ত্রী হবেন? কে নেতৃত্ব দেবেন? একজন হচ্ছেন এতিমের টাকা খেয়ে সাজাপ্রাপ্ত। আরেকজন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ আরও বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পালাতক।
তারেক জিয়ার নাম উচ্চারণ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সাল থেকে ওখানে বসে বসে আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি তার সুবিধা নিচ্ছে, এটা ঠিক। বিএনপির আসলে তেমন কেউ নেই, তারা এটা-সেটা উল্টাপাল্টা বলেই যাচ্ছে, বলেই যাবে। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, জনগণ যাতে ভালো করে বাঁচতে পারে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম বেড়ে যায় তখন খুব বেশি তো আমাদের কিছু করার থাকে না। এ ক্ষেত্রে কিছুতো কম্প্রোমাইজ করতে হবে। তবে রোজার সময় দ্রব্যমূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গে আমরা একটা কাজ করছি, এক কোটি মানুষকে স্পেশাল কার্ড দিয়ে দেবো। সেই কার্ড দিয়ে ন্যায্য মূল্যে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি জিনিস কিনতে পারবে। যে ৩৮ লাখ লোককে আমরা টাকা দিচ্ছি, সেটা তো থাকবেই। সেটা ধরে আমরা এক কোটি লোককে এটা দেবো। এছাড়া ৫০ লাখ লোককে একটি কার্ড দেয়া আছে তা দিয়ে তারা মাত্র ১০ টাকায় চাল কিনতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা আছে। ওই ৫০ লাখের সঙ্গে আরও এক কোটি লোককে আমরা বিশেষ কার্ড দেবো; যা দিয়ে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারে।
জনগণ যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মতবিনিময় সভায় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুর বশর মাইজভান্ডারী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির শাহাদাত হোসেনসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।