প্রধানমন্ত্রী উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে দিন-রাত পরিশ্রম করছেন : মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
পিরোজপুর: করোনা ভাইরাসের দুর্যোগকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলের কথা ভাবছেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় পিরোজপুর সার্কিট হাউজে ক্ষতিগ্রস্থ খেলোয়ার, প্রশিক্ষক ও ক্রীড়া সংগঠকদের মাঝে সরকারের আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন দুর্যোগকালীন এ সময়ে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক এবং সরকারি কর্মকর্তাসহ সকলকেই সাথে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আর এজন্য তিনি সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করছেন।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের এ দুর্যোগের সাথে সরকারকে সাইক্লোন বুলবুল, আম্পান, বৃষ্টি ও বন্যার মত প্রতিকূল অবস্থার মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
আগষ্টের এ শোকের মাসে বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তিনি এ দেশকে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যেতেন। তার পরও তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বল্প সময়ে দেশের উন্নয়নের জন্য যে সকল পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন তা অকল্পনীয়। এই শোকের মাসে সকল প্রকার বিভেদ ভুলে সকলকে একত্রিত হওয়ার আহবান জানান মন্ত্রী।
শোকের মাসে পিরোজপুর শহরে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিহত সদস্যদের ছবিযুক্ত টানানো ব্যানার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন আওয়ামী লীগ ছাড়া লোক খঁুজে পাওয়া যায় না। সবাই আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। তবে এরা প্রকৃত আওয়ামী লীগ নয়, হাইব্রিড। বিভিন্নভাবে দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে ষড়যন্ত্রকারীরা আওয়ামী লীগে হয়ে গেছেন। এরকম ঘটনা ১৯৭৫ সালের পূর্বেও হয়েছিল যারা পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিল। স্বার্থ হাসিলের পর পুনরায় তারা তাদের স্থানে ফিরে গেছেন। তাই আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে কেউ কোন অপকর্ম করছে কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদার।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন, পিরোজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা নকীব। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অর্থায়নে এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ৪৫ জন খেলোয়ার, প্রশিক্ষক ও ক্রীড়া সংগঠকদের প্রত্যেককে ৭ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।