শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড প্রদানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কর্তৃক ঘুষ লেনদেনের ঘটনা ফাঁস হওয়ায় সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কেরেঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল প্রায় দুই বছর আগে কেরেঙ্গাপাড়া গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুল হালিমের (২৩) নিকট থেকে ৪ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ভাতার কার্ড করে দেন। এরপর কয়েক দফায় হালিম ভাতা উত্তোলন করেন। সম্প্রতি স্মার্ট কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র কোনটিই না থাকায় অনলাইনে নিবন্ধন সংক্রান্ত জটিলতায় পড়ে হালিম। এমতাবস্থায় বিষয়টি বুঝে উঠতে না পেরে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি প্রকাশ করে দেয়।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা খোঁজ নিতে যান। সত্যতা পেয়ে তারা চলে আসেন। এরপর ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল ও স্থানীয় যুবক সুজন মিয়া ও ফারুকদের মাঝে ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল তার লোকজন নিয়ে সুজনের মুদি দোকানে গিয়ে তার ওপর হামলা করে। তাদের প্রতিহত করতে এলে সুজনের ছোট ভাই সুমন, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী উর্মি, মা ফরিদা ইয়াসমিন, ছোট ভাই রাজুসহ বেশ কয়েকজন আঘাতপ্রাপ্ত হন। ভেঙ্গে ফেলা হয় সুজনের দোকানের আসবাবপত্র।
অন্যদিকে, প্রতিরোধ করতে গিয়ে পাল্টা হামলায় আহত হন ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলসহ ৩ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুরুতর আহত সুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিতে চাইলে ইউপি সদস্যের লোকজন তাদের ওপর চড়াও হয় এবং হুমকী দেয়।
এদিকে, নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দু’পক্ষের কয়েকজন চিকিৎসা নিলেও সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়৷
ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলের পক্ষের একজনকেও ময়মনসিংহ মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমদ বাদল জানান, ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ এলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।