শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ শেরপুর জেলা শহরের নৌহাটা মহল্লায় ৭ মাস বয়সী শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যা করে মা নুরুন্নাহার (৪২) পালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় শাহ আলমের একটি পুকুর থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে শেরপুর সদর থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই শিশুটির জননী নুরুন্নাহার পলাতক রয়েছেন।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, শেরপুর শহরের নওহাটা এলাকার বাসিন্দা ও রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী আবু সামা ও নুরুন্নাহার দম্পতির ৪ ছেলে-মেয়ে। আবু সামার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম (৪২) ৭ মাস আগে সিজার করে আরাফাত তাহসিন নামের শিশু সন্তানের জন্ম দেন। এর পরথেকেই ওই শিশুকে কাছে আসতে দিতোনা এবং অসংলগ্ন আচরণ করতো ওই নুরুন্নাহার। শিশু আরাফাত তাহসিনকে লালন পালন করতো তার বড় বোন আফসানা শ্রাবনী।
গতরাতে সবাই শুয়ে পড়লে কোন এক সময় নুরুন্নাহার তার ছেলে শিশু আরাফাত তাহসিনকে নিয়ে হত্যা করে বা হত্যার উদ্দেশ্য পাশ্ববর্তী শাহ আলমের পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়। সকাল ৯ টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
শিশু তাহছিনের নানা আলামাছ উদ্দিন জানান, তার মেয়ে নুরুন্নাহার এ সন্তানটি জন্ম দেয়ার পর থেকে কাছে আসতে দিতো না। বড় বোনই তাকে লালন পালন করতো।
শিশু তাহছিনের বোন লাবনী জানায়, তার বাবা আবু সামা পারিবারিক কাজে ঢাকায় আছে। তারা ২ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে আরাফাত তাহিসন সবার ছোট। গতরাতে সবাই শুয়ে পড়ার পর কোন আকে সময় তার মা শিশু আরাফাতকে নিয়ে বের হয়ে যায়। পরে সকালে খুঁজাখুঁজি করে পায়নি। এলাকাবাসী জানায় পুকুরে তার ভাইয়ের মরদেহ। তার মা কোথায় আছে তা তার জানা নেই।
স্থানীয় রতন ও মনোয়ার হোসেন জানান, এই শিশুটি প্রসব করার পর থেকেই পাগলের মতো আচরণ করে আসতো নুরুন্নাহার। কি কারণে শিশুটিকে মারা হয়েছে তা আমাদের জানা নেই।