নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এর উপর হামলার প্রতিবাদে নেত্রকোনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পৌর শহরের জাহাঙ্গীরপুর সেন্টারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মাববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা যে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকত্বের পরিচয় বহন করি তা এই সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান। একজন বাঙালি হিসেবে আজ এই মানববন্ধন থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের উপর যে হামলা হয়েছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আশরাফ আলীর রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদানে প্রভাব খাটিয়ে বাধা দেয়ার নিদের্শদাতা সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার জন্য জোড় দাবী জানাচ্ছি। অন্যদিকে, একজন সরকারি চাকুরীজীবী চাকুরীতে আসে দেশের ও দেশের মানুষের সেবা করার জন্য। এর মধ্যে বিভিন্ন বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ তাদের নিজের জেলা থেকে দূরে বিভিন্ন উপজেলায় অফিস প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সেই উপজেলার উন্নয়ন কাজ স্বচ্ছতার সাথে কাজ করার জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। তাই ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের চিহ্নিত ও তাদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যতদিন পর্যন্ত এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়া হবে, আমরা মানববন্ধনসহ শান্তিপূর্ন আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরা বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর তনয়া এ ঘটনায় জড়িতদের সঠিকভাবে বিচারের ব্যবস্থা করবেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হেলাল উদ্দিন তালুকদার, ডেপুটি কমান্ডার গাজী ফেরদৌস আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল করিম সাজু, সমাজসেবক দেওয়ান একলিমুর রেজা মাখন, শেখ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বাচ্চুসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেকাকর্মীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর প্রথম প্রতিবাদকারী মৌলভী সৈয়দ আহাম্মদের আপন সহোদর বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আশরাফ আলী গত ২৭ জুলাই প্রয়াত হওয়ার পর দাফনের সময় রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদানে প্রভাব খাটিয়ে বাধা সৃষ্টি করে চট্টগ্রাম বাশঁখালীর বিতর্কিত স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত ২৪ আগষ্ট চট্টগ্রাম প্রেসকাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা কমিটির আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তানরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন এতে সে এমপির নির্দেশে তার পালিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা চালানো হয়। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লাটিপেটা করে আহত করা হয়। অন্যদিকে, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারি বাসভবনে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন।