নিজস্ব প্রতিবেদক: মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের নয় তলার একটি কেবিনে নির্লিপ্তভাবে শুয়ে আছেন লতা মঙ্গেশকর। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় তার কেবিনে একটি মশা মাছিরও গলে ঢোকার উপায় নেই। বোন উষা মঙ্গেশকর ব্রিচ ক্যান্ডির নিচে রিসেপশন থেকেই খোঁজ নিয়ে যান। আশা ভোসলে এসেছিলেন দিদিকে দেখতে। আশার অভিযোগ, কোভিড অনুশাসনের কথা তুলে তার গাড়ি হাসপাতালের কম্পাউন্ডেই ঢুকতে দেয়া হয়নি। অন্য সেলিব্রিটিদের ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেমন দৈনিক মেডিকেল বুলেটিন প্রকাশ করে, লতার ক্ষেত্রে তা করা হচ্ছে না সংগীত সম্রাজ্ঞীর ইচ্ছাতেই। তিরানব্বই বছর বয়স্ক লতা চান না তার শারীরিক অবস্থার কথা খুব বেশিজনের সামনে আসুক। লতার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডা. প্রতিত সামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া লতা মঙ্গেশকরের পুরোপুরি সেরে উঠতে আরও ১২-১৩ দিন লাগবে।
বয়সজনিত কারণেই তার সুস্থ হতে দেরি হচ্ছে বলে ডা. সামদানি জানান। তরল খাবার খাচ্ছেন লতা। দু’হাজার উনিশে যে কেবিনে তিনি ছিলেন চিকিৎসার জন্য সেই কেবিনটিতে এবারও রাখা হয়েছে তাকে। ঘরে টিভি এবং সাউন্ড সিস্টেম আছে। কিন্তু তিনি খুব কম টিভি দেখেন বা গান শোনেন। বরং খবরের কাগজে চোখ মেলাতেই তার আগ্রহ।