নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইশা মাইঝাই স. প্রা. বিদ্যালয়টি গতকাল ১৩ জুন সন্ধ্যায় নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গিয়েছে।
এছাড়াও ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের আগাম বন্যায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ঘর বাড়ি নদীরগর্ভে বিলিন হয়ে গিয়েছে, আবার কেউ বা ঘর ঘুলে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে অন্যত্র।
আজ ১৪ জুন সকালে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ইউএনও সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম সলিমাবাদ ইউনিয়নের এর পাইশা মাইঝাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি ভাঙ্গনকবলিত মানুষ জনের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং তাদের জন্য নির্ধারিত দূর্যোগ মোকাবেলায় আশ্রয়ন কেন্দ্রে (জনতা ডিগ্রি কলেজ) এ স্থানান্তর হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।
আগাম বন্যায় সলিমাবাদ ইউনিয়ন এর পাইশা মাইঝাইল সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সরোজমিনে তিনি পরিদর্শন করেন। ভাঙ্গন রোধ কল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইলের জেলার জেলা প্রশাসক ডিসি মহোদয়ের কাছে সুপারিশ পেশ করেন। কিভাবে এই ভাঙ্গন রোধ করে জনজীবনে সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায় এবং নদীগর্ভে বিলীন হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি এর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন মহলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন তিনি। ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ আবু বকর সহ সলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়জুল ইসলাম বলেন, আমরা আগে থেকেই এই সলিমাবাদ ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি মাননীয় জেলা প্রশাসক ডিসি স্যারের কাছে সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আজকে আমি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) এসব এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও এসব মানুসের জীবনের বাস্তবতা জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব। যাতে এলাকায় এ ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হয়। মানব জীবনে যাতে শান্তি ফিরে আসে। এছাড়াও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সে বিষয়টি আমরা লক্ষ্য রাখবো।