দ্বিতীয় টেস্টেও করোনা পজিটিভ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

0

দ্বিতীয় টেস্টেও করোনা পজিটিভ এসেছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। রবিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিক্যাল বোর্ডের অন্যতম চিকিৎসক ডা. আল মামুন গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রবিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে খালেদা জিয়ার বাসা থেকে বের হয়ে বোর্ডের প্রধান ডা. এ এফ এম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, মেডিক্যাল বোর্ড বেগম জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন। রিপোর্টগুলো সব নতুন করে করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা দেখেছি। শারীরিকভাবে খালেদা জিয়া আগের চেয়ে ভালো আছেন, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। আজকে আমরা ১৮ দিনে প্রবেশ করেছি। করোনার যে বিপদজনক সময় তা ম্যাডাম পার করেছেন। এ সময় যে জটিলতা তা হয়নি। তিনি আশঙ্কামুক্ত।

তিনি বলেন, মুক্তি পাওয়ার পর গত ১ বছর খালেদা জিয়া বাসায় ছিলেন। তাঁর কোনো পরীক্ষা করতে পারিনি। এখন আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, কভিডের বাইরে যে রিপোর্ট নতুন করে করা দরকার তা আগামী দুই এক দিনের মধ্যে করব।

ডা. এ এফ এম সিদ্দিকী বলেন, আজকে যে কভিডের টেস্ট আমরা বেগম জিয়ার করেছি তা পজিটিভ এসেছে। তবে আমরা মনে করছি, আগামী ৫/৬ দিনের মধ্যে উনি (খালেদা জিয়া) সম্পূর্ণভাবে নেগেটিভ হয়ে যাবেন। সে বাসায় যারা ছিলেন প্রায় ১৪ জনের মতো পরীক্ষা করেছি। তাদের মধ্যে ম্যাডামসহ ৪ জন পজিটিভ হয়েছেন। তারা সবাই শারীরিকভাবে সুস্থ, কোনো সমস্যা নেই।

এর আগে খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. আব্দুর সবুর কার্যালয়ে আসেন সাড়ে ১০টায়। কিছুক্ষণ পর সেখানে বোর্ডের প্রধান ডা. এ এফ এম সিদ্দিকী যান রাত পৌনে ১০টায়। এছাড়াও রাত ১০টার দিকে ফিরোজায় আসেন ডা. জাহিদ ও ডা. আল মামুন।

এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১১ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়েছিলেন। ঠিক ১৪ দিন পর গতকাল শনিবার দ্বিতীয়বার নমুনা দেন তিনি। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. মামুন রাত সাড়ে ১০টার পর গুলশানের বাসায় যান। সেখানে অন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে কনফারেন্সে খালেদা জিয়ার নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়।

পরে শনিবার দুপুরে ল্যাবএইড হাসপাতালের টেকনিশিয়ান সবুজ যান নমুনা সংগ্রহ করতে। ওই সময় খালেদা জিয়াসহ ফিরোজায় অবস্থান করা করোনায় আক্রান্ত অন্য স্টাফদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

এদিকে ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। করোনাভাইরাসের চিকিৎসার পাশাপাশি চলছে অন্যান্য রোগের চিকিৎসাও। গত ১৪ দিনে করোনা উপসর্গের মধ্যে কয়েক দিন জ্বর ও দুর্বলতা ছাড়া বড় ধরনের কোনো লক্ষণ তাঁর দেখা যায়নি। তাই বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title