নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইংরেজি নতুন বছর বরণ করতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কোনো আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুস ওড়ানো যাবে না।’
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টি ফার্স্ট নাইট-২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষে কমিশনারস মিট দ্য প্রেসে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
২০১৬ সালে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর উন্মুক্তভাবে ইংরেজি নববর্ষ পালন করতে দিচ্ছে না পুলিশ। এবারও বাসাবাড়ির ভেতরে ইংরেজি নতুন বছর বরণের সব আয়োজন করা যাবে। তবে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না।
অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে ফানুস ওড়ানো প্রতিবছর নিষিদ্ধ করা হয়। এবারও ফানুস, পটকা না ফোটানোর জন্য ডিএমপি নির্দেশনা দিয়েছে। এ ছাড়া ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না।’
সন্ধ্যা থেকে রাজধানীতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা বাড়ানো হবে উল্লেখ করে গোলাম ফারুক বলেন, ‘রাজধানীতে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে। সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সোয়াত, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। হাতিরঝিল এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। কোনো গাড়ি রাফ চালানো যাবে না।’
কমিশনার আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পরে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে হেঁটেও প্রবেশ করতে পারবেন তাঁরা।’
কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় রাত ৮টা থেকে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। রাত ৮টার পর থেকে ওই এলাকায় প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ওই এলাকায় প্রবেশের জন্য আমতলি ও কাকলী ক্রসিং খোলা থাকবে। সেখানকার বসবাসরত নাগরিকদের ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রবেশের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে। হাতিরঝিল এলাকায় ডুবুরি মোতায়েন থাকবে। তবে সন্ধ্যার পরে হাতিরঝিলে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’
উচ্চশব্দে হর্ন বাজানো বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাতাল অবস্থায় কোনো চালক যাতে গাড়ি চালাতে না পারেন, সন্দেহজনকদের ব্রিথিং টেস্টের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশকে ফোন করার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।