নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-১ আসনে (দোহার-নবাবগঞ্জ) জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সাবেক প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হিসেবেও পুনরায় মনোনীত করা হয়।
সোমবার নবাবগঞ্জের বর্ধনপাড়ায় ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মলনে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামকে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচিত করার কথা ঘোষণা করেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এ সময় তিনি ঢাকা-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় সম্মেলনকে ঘিরে সমবেত দলের নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার মানুষ তুমুল করতালি দিয়ে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামকে স্বাগত জানান।
দুপুর ১২টায় সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এরপর পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম উদ্বোধন করেন সম্মেলনের। এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ও আবেগঘন বক্তব্য রাখেন তিনি।
প্রখর খরতাপ এবং সময় স্বল্পতার কারণে সম্মেলনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এবং কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ছাড়া আর কারও বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ হয়নি। তবে তাদের সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে সবাইকে ফুল এবং লাঙ্গল খঁচিত ব্যাজ পরিয়ে দেওয়া হয় সম্মেলনের আয়োজক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের পক্ষ থেকে।
তীব্র গরমের মধ্যেই জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে বিশাল মাঠে নারী, পুরুষ, তরুণ, তরুণী, যুবক, শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ নানা বয়সি মানুষ এ সম্মেলন ঘিরে সমবেত হয়েছিলেন। কেবলমাত্র সম্মেলন নয়, এক কথায় এটি হয়ে উঠেছিল মানুষের মহামিলন ক্ষেত্র।
বেলা ১১টায় সম্মেলন উদ্বোধন করার কথা ছিল। ভোর থেকেই দোহার ও নবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ছুটে আসতে শুরু করেন বর্ধণপাড়ায়। কেউ হেঁটে, কেউ অটোরিকশায়, কেউ অন্য কোনো যানবাহনে চড়ে, কেউবা নৌকায় করে সমবেত হন সম্মেলন মাঠে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর পাশাপাশি তাদের হাতে শোভা পায় অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের ছবি সংবলিত নানা রঙের ব্যানার, পতাকা ও ফেস্টুন।
সম্মেলন উপলক্ষ্যে একাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা ১১টার আগেই চলে আসেন সমাবেশস্থলে। কিন্তু দলটির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের আসা অব্যাহত ছিল তখনো। বেলা গড়াতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে বর্ধণপাড়ার বিশাল মাঠ। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা। সম্মেলন পরিণত হয় এক বর্ণিল উৎসবে।