জাপানে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে আহত শতাধিক

জাপানে শনিবার রাতে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্পে শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। তবে পখেন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দুই প্রদেশ ফুকুশিমা ও মিয়াগি প্রিফেকচারের বিস্তৃত এলাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর এনএইচকের।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, অন্তত ১০৪ জন আহত হয়েছেন, এদের অনেকের শরীরের হাড় ভাঙলেও কারও মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ভূমিকম্পের পর কোনো সুনামি হয়নি। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কার্যক্রমেও কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।

স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১১টা ৮ মিনিটে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পটিতে উপকেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকাগুলোর দেয়ালে ফাটল ধরেছে, বহু জানালা ভেঙে পড়েছে এবং ফুকুশিমায় একটি ভূমিধস হয়েছে।

জাপানের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পটি ২০১১ সালের ১১ মার্চের ৯ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পের পরাঘাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

১০ বছর আগের ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ব্যাপক সুনামিতে জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল এবং ২৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বিপর্যয়কর পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল।

আরও কয়েক দিন ধরে বেশ কয়েকটি পরাঘাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে রাজধানী টোকিওর ভবনগুলোও কেঁপে উঠেছিল।

ভূমিকম্পের পর পরই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাড়ে ৯ লাখ ভবন বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। তবে রোববার সকালের মধ্যে অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরে আসে।

বেশ কয়েক হাজার বাড়ি পানিশূন্য হয়ে পড়ে, বিভিন্ন এলাকায় পানিবাহী ট্যাংক-লরি পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয় এবং পানি সংগ্রহের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা প্লাস্টিকের জগ নিয়ে লাইন ধরেন।

রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার মুখ্য সচিব কাতসুনোবু কাতো জানান, শুক্রবার ওই অঞ্চলে পৌঁছানো ফাইজারের করোনাভাইরাস টিকাগুলোতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কোনো প্রভাব পড়েনি। চলতি সপ্তাহেই সেখানে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title