অনলাইন ডেস্ক: ভারত-চীন সম্পর্ক বিগত প্রায় দেড় বছরে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। লাদাখের পাশাপাশি ক্রমেই উত্তেজনা বেড়েছে অরুণাচল প্রদেশ সংলগ্ন সীমান্তে। মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়ে দেন, সীমান্ত সমস্যা না মেটা পর্যন্ত দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি খুব কঠিন। পাশাপাশি এদিন জয়শংকর চীনের কাছ থেকে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের দেশগুলোকে সতর্ক করে দেন।
সোমবার এ খবর দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস লিখেছে, ভারতের প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা ইতোমধ্যেই চীনা ঋণের ফাঁদে ফেঁসেছে। এবং তারা এখন সাহায্য পেতে ভারতের মুখাপেক্ষি। আফ্রিকার বহু দেশ, এমনকি পাকিস্তানও ক্রমেই চীনের ঋণের ফাঁদে ফেঁসে চলেছে।
খবরে বলা হয়, এদিন এস জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়, চীনের সাথে ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটার পরই কি পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ভারতের সম্পর্ক ভালো হয়ে যায়? এই প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত-চীন সংঘাত শুরু হওয়ার আগের থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিল।’
জয়শংকর বলেন, ‘৪৫ বছর ধরে সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ছিল। সীমান্তে কোনো সেনা হতাহত হয়নি। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে বদল না আনা নিয়ে চীনের সাথে আমাদের চুক্তি ছিল এবং চীনারা সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এখন সীমান্তের অবস্থা নির্ধারণ করবে সম্পর্কের অবস্থা। এটাই স্বাভাবিক।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত ও চীনের সেনা। সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়েছিলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, চীনা বাহিনীর কমপক্ষে ৪০ জন জওয়ান হতাহত হন। তার পর থেকে একাধিকবার সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা হয়েছে। চীনের সাথে দফায় দফায় কোর কমান্ডার স্তরে বৈঠক করেছে ভারতীয় সেনা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপরেও দীর্ঘদিন সীমান্তে শক্তি বাড়িয়ে চলেছে চীন। ভারতও প্রস্তুত আছে সীমান্তে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি সেনা।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস