ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় প্রস্তুত সরকার

ঢাকা : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে । ইতিমধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ১২ হাজার ৭৮ টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে । উপকূলীয়সহ মোট ১৯ টি জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম,-কক্সবাজার, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ এবং শরীয়তপুর জেলার জন্য ৩১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৫০ লক্ষ নগদ টাকা,, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৩১ লক্ষ টাকা, গো খাদ্য জন্য ২৮ লক্ষ টাকা এবং শুকনো ও অন্যান্য খাবারের ৪২ হাজার প্যাকেট ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে ।

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় তাঁর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন । এসময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে । এটি আজ বিকাল তিনটায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল । এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং দিক পরিবর্তন করে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রাম এর মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে শেষ রাত হতে ২০ মে বিকাল বা সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে । ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটার -এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার বা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে । ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে । ।মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং উপকূলীয় জেলা সমূহ ও এর অন্তর্ভুক্ত দ্বিপসমূহ ৭ নং বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতক্ষীরা জেলার লোকজনকে ইতিমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা শুরু হয়েছে । আগামীকাল সকাল থেকে অন্যান্য জেলার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কার্যক্রম শুরু হবে ।আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকালে যাতে খাবারের অভাব না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার এবং গো-খাদ্যের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । জেলা প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনে আরো বরাদ্দ দেয়া হবে । দুর্যোগকালীন বিদ্যুৎ না থাকলে তার বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখার জন্য জেলা প্রশাসন সমূহকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ।

এরপূর্বে প্রতিমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমুহের সচিব ও সিনিয়র সচিব এবং উপকূলীয় জেলা সমূহের জেলা প্রশাসকদের সাথে অনলাইনে সভা করেন ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title