দুই মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে ফের ঝিমিয়ে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। বাজারে লেনদেনের পরিমাণ কমেই চলেছে। সর্বশেষ সপ্তাহেও লেনদেন কমেছে ব্যাপকভাবে। একইসাথে কমেছে বাজারের সব মূল্যসূচক।
অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পর মূল্য সংশোধন পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশের বিনিয়োগ আটকে গেছে।
টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো মূল্য সংশোধন হয়েছে পুঁজিবাজারে। তাতে গত সপ্তাহেও বাজারে বেশিরভাগ শেয়ারের মূল্য ও সূচক কমেছে। একই সাথে কমেছে লেনদেন।
গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৯ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমেছে। আগের সপ্তাহে তা ৯ দশমিক ০৩ পয়েন্ট কমেছিল। সপ্তাহের শুরুতে এই সূচকের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৪৭৫ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে তা ৫ হাজার ৪১৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
গত সপ্তাহে বাজারমূলধনে শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট কমেছে। সূচকটি আগের সপ্তাহে ৫ দশমিক ১২ পয়েন্ট কমেছিল।
অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৬ দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমেছে, যা আগের সপ্তাহে ৬ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়েছিল।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৭১ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২১ টির, কমেছে ১২৬ টির। আর ১১৮ টির দাম ছিল অপরিবর্তিত। অন্যদিকে ৬টি কোম্পানির কোনো শেয়ার কেনাবেচা হয়নি আলোচিত সপ্তাহে।
গত সপ্তাহে বাজারে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন দেখা গেছে লেনদেনে। এ সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে দৈনিক ৫৮৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, আগের সপ্তাহেও যার পরিমাণ ছিল ৮৮৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৩৪ দশমিক ২২ শতাংশ।