নিজস্ব প্রতিবেদক: নানা ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে কোণঠাসা হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম। এর আমির মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী গতকাল রবিবার রাত ১১টার দিকে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এই ঘোষণা দেন।
বাবুনগরী বলেন, ‘দেশের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বড় অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আগামীতে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে আবার হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম শুরু হবে।’
এই ঘোষণার আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নেতাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যার পর থেকে মাদরাসাটি ঘিরে রাখে বিপুলসংখ্যক র্যাব-পুলিশ। এ সময় গ্রেপ্তার অভিযানের আশঙ্কাও তৈরি হয়। তবে রাতে বৈঠকের পর কমিটি বিলুপ্ত করার ঘোষণা এলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাদরাসা থেকে দূরে সরে আবস্থান নেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে গত মাসের শেষ দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সহিংসতা চালায় হেফাজত। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় রিসোর্টে এক নারীসহ হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক অবরুদ্ধ হওয়ার পর তাঁর সমর্থকরা ব্যাপক ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এর পরই নাশকতায় জড়িত হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে যায় সরকার। এরই মধ্যে মামুনুল হকসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।