মোঃমিজানুররহমান: সন্ধানদীর কোল ঘেষে অবস্থিত পিরোজপুর জেলার ব্যাপক কর্ম চাঞ্চল্যকর এলাকা স্বরুপকাঠি উপজেলা। ভোর ৪টা থেকে শুরু হয় প্রায় কয়েক হাজার লোকের কার্যক্রম চলে পুরো দিনব্যাপি,কিন্তু বর্তমান বিশ্বের সমসাময়িক করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ছড়িয়ে পরার আশংকায় পুরো স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের বৃহৎ কাঠের বাজারের কার্যক্রম। যেখানে কয়েক হাজার লোকের সমাগম থাকতো সেই এলাকা এখন পুরো শুন্য হয়ে আছে।
বিধায় অসহায় জীবনযাপন করছে এখানকার প্রায় কয়েক হাজার শ্রমিক এবং সাধারণ ব্যাবসায়ীগন। অনেকে প্রচুর কষ্টে অর্ধাহারে জীবনযাপন করতে তাদের।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত কাঠুরেরা নৌকা, ট্রলার এবংট্রাকের মাধ্যমে নিয়ে আসতো কাঠগুলো। সেই কাট ক্রয়ের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত শতশত ব্যবসায়ীগন ।
দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের কারনে পুরো লকডাউন চলমান প্রায় এক সপ্তাহ, এরই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পুরো থমকে দাঁড়ালো দেশের বৃহৎ কাঠের বাজারের কর্ম চাঞ্চলতা । সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিতের ঘোষণা থাকলেও, এখানকার কর্মজীবি দিনমজুরের মনে তীব্র আতংক বিরাজ করছে, হয়তো আরো বৃদ্ধি হতে পারে লকডাউনের সময়সীমা। বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীগন, এখানের অধিকাংশ ক্ষুদ্র কাঠের ব্যাবসায়ীগন বিভিন্ন ব্যাংক এবং এনজিওর লোনের মাধ্যমে ব্যাবসা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।কিন্তু বর্তমান সমস্যার কারনে অনেকেই তাদের মুল চালানের টাকা দিয়ে পরিবারের ভরন পোষণ পরিচালনা করছেন।
এই পরিস্থিতি চলমান থাকলে কি হবে তাদের ভাগ্যে?? এটাই প্রশ্ন বিরাজমান করছে সকল সাধারণ ব্যবসায়ীদের মনে।হয়তো অনেকেই এই অচলাবস্থার কারনে পুরো দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে, অনেক ব্যাবসায়ীদের লক্ষ লক্ষ টাকার কাঠ ক্রয় করা থাকলেও, সবই পড়ে আছে সন্ধার কিনারায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের যেন কষ্টের শেষ নেই ।
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এবং অনেক বেসরকারি সংস্থা ও অনেক সমাজের বিত্তবান শ্রেণীর মানুষ ইতিমধ্যেই অসহায় সাধারণ কর্মজীবি মানুষের জন্য ত্রান সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে।