ফরিদপুর :: মরণঘাতি রোগ করোনা ভাইরাস মানুষের শরীরে আছে কি নেই তা নির্ধারনের জন্য যে কীট থাকা দরকার সেই কীট বিহীন অবস্থায় ফরিদপুরে চলছে প্রাদুর্ভাব কালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা। এরই ফলে বিদেশ থেকে আসা প্রায় সাড়ে চার হাজার বিদেশ ফেরতদের শরীরে করোনা ভাইরাস রয়েছে কিনা তা নির্ধারন করতে পারছে না জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সাংবাদিকদের কাছে অনায়েসে তা স্বীকার করে নিলেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন।
গত সোমবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১ হাজার ৪৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ফরিদপুর সদরে গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৮১ জনকে। এছাড়া নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম হওয়ায় ২১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করা হয়েছে। কীট না থাকায় এদের শরীরে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করতেও পারছেনা স্বাস্থ্য বিভাগ।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস রয়েছে তা নির্ধারনের জন্য যে কীট সেই কীট একমাত্র আইডিসিআর ছাড়া দেশের কোন জেলায় নেই। হিসেব অনুয়ায়ী ফরিদপুরে নেই। তিনি বলেন আমাদের এখানে এমন রোগি থাকলেও আমরা তা নির্ধারন করতে পারছি না কীট না থাকার জন্য। একই সাথে বিশেষভাবে দরকার কীট এক্সপাট! কিন্তু সেটিও ফরিদপুরে নেই। তবে আমরা বিদেশ ফেরত অনেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে নিয়েছি কিন্তু তাদের হয়েছে কিনা তা বলতে পাারছিনা। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার। এই সময়ে আবার সিজেনাল সমস্যা হয় সেটিও হচ্ছে। তারাও অনেকে নিজেদের করোনা ভাইরাস হয়েছে বলে ধারনা করে একটি ভীতিতেও রয়েছে।
সোমবার ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করা হয়েছে এতে শপিং মল, রেষ্টুরেন্ট, বাণিজ্য কেন্দ্র, ভ্রাম্যমান ফাষ্টফুডের দোকান, আবাসিক হোটেল, পশুর হাট, বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক, মেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় সমাবেশ ও রাস্তার পাশের খাবার ও চা দোকানের আড্ডার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গন বিজ্ঞপ্তিতে বিদেশ ফেরতদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করে কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, থানা বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করা হয় গণবিজ্ঞপ্তিতে।