নিউজ ডেস্ক : ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার। করোনা ভা’ইরাস প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ বেশি জরুরি। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশ সরকারও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনাদের জ্ঞাতার্থে এর উল্লেখযোগ্য কিছু তুলে ধরা হলো :-
১। জেলা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে পৃথক বেড রাখা হয়েছে। করোনার লক্ষন দেখা দিলে হট লাইন নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য নির্ধারিত নাম্বার দেয়া হয়েছে।
২। রাজধানীতে করোনা রোগীদের জন্য ৪ টি হাসপাতাল বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, মহানগর হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা হাসপাতাল।
৩। করোনা ভা’ইরাস শনাক্ত করার জন্য আগামী দুই দিনের মধ্যেই আসছে আরো দুই হাজার কিট। এছাড়া চীন সরকার কাছ থেকে আসছে আরো ১০ হাজার কিট ১৫ হাজার সার্জিকেল মেডিকেল মাস্ক ১০ হাজার মেডিকেল প্রটেকটিভ ড্রেস এবং ১ হাজার ইনফারেড থার্মোমিটার।
৪। বিদেশ থেকে যারা আসছেন তাদের তালিকা ঠিকানাসহ জেলাপ্রশাসকদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশা’সন আগত প্রবাসীদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইন রাখার ব্যবস্থা করছেন। যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার আ’ইন ভঙ্গ করছেন তাদেরকে জরি’মানাও করা হচ্ছে। গতকালও টাঙ্গাইল মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় ৩৫ প্রবাসীকে জরিমানা করা হয়েছে।
৫। যাদের শরীরে করোনা ভা’ইরাসের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাদেরকে আশকোনা হাজিক্যাম্পসহ নিরাপদ স্থানগুলোতে রাখার ব্যবস্থা করেছে।
৬। স্কুল কলেজগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের অফিসিয়ালি চিঠি দিয়ে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
৭। ইউরিপিয়ান দেশগুলোর সব ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে।
৮। গাইডলাইন, জনসচেতনতামুলুক ক্যাম্পেইন সরকারের পক্ষ থেকে মিডিয়াতে প্রচার করা হচ্ছে। জেলা, উপজেলা পর্যায়ে লিফলেট বিতরন করা হচ্ছে।
৯। পতেঙ্গা ও কক্সবাজারসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
১০। কোনো আবাসিক হোটেলে বিদেশী থাকলে সাথে সাথে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
১১। যাদের হাঁচি,কাশি,জ্বর তাদেরকে জুমা’র নামাজে শামিল না হবার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
১২। চাল, ডালসহ নিত্যপন্যের বাজার স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকরা ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা এবং কেউ যেন নিত্যপন্যের বাড়তি দাম আদায় করতে না পারে সে লক্ষ্যে বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১৩। জেলা-উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্র’শাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে তৎপর রাখা হয়েছে।
১৪। করোনা ভাই’রাস প্র’তিরোধে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের মনিটরিং, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, স্কুল ও কোচিং বন্ধ রাখা এবং বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখার নিমিত্ত প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টাস্কফোর্স টিম অভিযান পরিচালনা করছে।
উল্লেখ্য, চীনের উহানে প্রথম আঘাত হানা দেয় এ ভাইরাস। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী ২ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণহানি হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষের। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।