নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউরোপের অনেক দেশে কফি’র চাষ হয়। সেই কফি এখন টাঙ্গাইলে চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরাচ্ছেন সানোয়ার হোসেন নামের একজন চাষী। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বনাঞ্চল মহিষমাড়া গ্রামে নিজের বাড়ির পেছনে কফির বাগানটি করেছেন তিনি। বিভিন্ন ফল ফসলের পাশাপাশী তিনি সখের বশে গড়ে তুলেছেন এই কফির বাগান। সরেজমিনে দেখা গেছে, সানোয়ার হোসেনের ৪৫০টি কফি গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছের গোড়া থেকে প্রত্যেক শাখা-প্রশাখা ফলে ভরপুর। কিছু কিছু ফল পাকতেও শুরু করেছে। এছাড়ও তিনি নতুন করে আরেকজন কৃষকের জমিতে ২০০ কফির চারা রোপন করেছেন। চা-কফি খাওয়ার নেশা থেকে এই কফি চারা লাগান তিনি।
সানোয়ার হোসেনের এই বাগানে কাজ করছেন কয়েকজন শ্রমিক। কফি বাগানে কাজ করে যে পারিশ্রমিক পান তাতে তাদের সংসার ভালো ভাবে চলছে।এত করে সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানের।
নিরাপদ ফল-ফসল উৎপাদনে এলাকার মানুষের কাছে সানোয়ার হোসেন আদর্শ। অনেকেই প্রতিদিন আসেন কফি বাগান দেখতে। জীবনে প্রথম কফি গাছ ও বাগান দেখে তারা অভিভুত। অনেকেই কফি বাগান করার জন্য সানোয়ার হোসেনের পরামর্শ নিচ্ছেন।
টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসান অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার জানান, টাঙ্গাইলের মধুপুর ও সখীপুর উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া কফি চাষের জন্য উপযোগী। কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া গেলে এ অঞ্চলে কফি চাষের এক বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে।
টাঙ্গাইলসহ সারাদেশে সরকারী সহায়তায় কৃষকদের যদি কফি চাষে আগ্রহী করা যায় তবে কফির আমদানী নিভরতা কমে আসবে। এত সাশ্রয় হবে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।