ওবায়দুল ইসলাম রবি রাজশাহী : সদ্য যোগদানকৃর্ত রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবুল কালাম সিদ্দিকি সাংবাদিকের সাথে এক ছাতার নিচে থেকে ঐকান্তিকভাবে কাজ করার অঙ্গিকার জ্ঞাপন করেন। জেলার প্রিন্ট এবং টিভি সাংবাদিকদের সাথে বিভিন্ন সময়ে ঐকতান নিয়ে সংকটময় সমস্যার মোকাবেলাসহ সুষ্ঠু সমাধান করার প্রত্যাশা জানান আরএমপি কমিশনার।
শনিবার দুপুরে আরএমপি পুলিশ লাইন্স মাঠে “প্রেস দ্যা মিট” এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ।
১৯৯২ সালে রাজশাহী আরএমপি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বর্তমান পুলিশের আধুনিকায়ন যুগপযোগী হয়েছে। রাজশাহীর পুলিশকে আরো যুগান্তকারী পরিবর্তন করার প্রত্যয় রয়েছে। সমাজে মাদক একটি মরণ ব্যাধী যা আমার বা তোমার বলে কোন নিশ্চয়তা নেই। বর্তমান সরকার এবং পুলিশ প্রধান এদেশের পুলিশকে আদর্শ হিসাবে দেখতে চেয়েছেন।
“গাজার এক পুড়িয়া সেবন করে আর এক পুড়িয়া পকেটে রাখে” ওই পুলিশ সদস্য জনগনের সেবক হতে পারে না। যে সকল পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্যরা মাদক সেবন করে তারা এই বাহিনী এবং দেশের জন্য বিষ ফোড়ঁ। পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন গোয়ান্দা সংস্থার অনুসন্ধানে কুলশিত চরিত্রের পুলিশ সদস্যদের চিহিৃত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন শৃঙ্খলার উন্নতি করা হবে এবং পুলিশ আরো চৌকশ ভাবে গড়ে তোলাসহ রাজশাহীকে নিরাপদের চাদঁরে আচ্ছন্ন রাখার অঙ্গিকার করেন পুলিশ কমিশনার।
“প্রেস দ্যা মিট” অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন, পুলিশ বাহিনীর মধ্যে কিছু সংখ্যক সদস্য রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়, তেমনি সাংবাদিক পেশায় অপসাংবাদিকতা বা ভুয়া সাংবাদিকও রয়েছে। তবে সাংবাদিক সংগঠনের মাধ্যমে তাদেরকে অমিট করে দিতে হবে। ওই সময় প্রচলিত জাতিয়, স্থানীয় এবং অন-লাইন পোর্টাল পত্রিকার সাংবাদিক ব্যাতীত অনিবন্ধনকৃত অন-লাইন পোর্টালের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান জেলা সাংবাদিকবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় রাজশাহী মেট্রপলটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার প্রশাসন সুজায়েত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সালমা বেগম, উপ পুলিশ কমিশনার সদর রশিদুল হাসান, উপ পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।