ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাঠানো অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ২০ লাখ ডোজ বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে ভ্যাকসিনগুলো হস্তান্তর করেন বিক্রম দোরাইস্বামী।
ভ্যাকসিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির- দেয়া প্রতিশ্রুতির অংশ এবং ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতির অংশ।
পারস্পরিক বুন্ধ রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ এবং ভারত এক সাথে বোভিড-১৯ এর মতো প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়বেন বলেও উল্লেখ করে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাঠানো অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ২০ লাখ ডোজ এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছায়।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৭ অথবা ২৮ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার একটি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যবেক্ষণমূলক টিকাদান শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন।
প্রথম দিন সরাসরি করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ২০ থেকে ২৫ জনকে টিকা দেওয়া হবে। ব্যাপক হারে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চারশ থেকে পাঁচশজনকে টিকা দিয়ে সাত দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর গণটিকাদান শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। প্রতি মাসে দুই দিন দুই লাখ ডোজ করে প্রথম মাসে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে।