যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরা সব যাত্রীকে সরকার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে বা হোটেলে নিজ খরচে ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এমনকি যাত্রীদের কারও করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া থাকলেও এ নিয়ম মানতে হবে।
বুধবার থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে বলে মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করার পর নতুন এ নিয়ম ঠিক করে দিয়েছে বেবিচক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেকোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে আসার সময় সে দেশের বিমানবন্দর এবং বাংলাদেশের বিমানন্দরে যাত্রীদের অবশ্যই কভিডমুক্ত সনদ দেখাতে হবে। প্লেনে ওঠার ৭২ ঘণ্টা বা তার কম সময়ের মধ্যে নমুনা দিয়ে পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে এ কোভিডমুক্ত সনদ নিতে হবে।
এছাড়া যারা যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের কোনো দেশ থেকে আসবেন, তাদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ১৪ দিন পার হওয়ার পর আরটিপিসিআর নমুনা পরীক্ষায় কভিড-১৯ নেগেটিভ হলে কোয়ারেন্টাইন থেকে তারা ছাড় পাবেন।
ইউরোপ বা যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ-উপসর্গ না থাকলে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। তবে বিমানবন্দরে কারও লক্ষণ-উপসর্গ দেখা গেলে তাকে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে এবং সেই খরচ তাকেই বহন করতে হবে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় সোমবার সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। সেখানে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়।
এতদিন লন্ডনফেরত যাত্রীদের জন্য সাতদিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক ছিল। বাকিদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকলেই চলত।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছেই। একদিনে করোনাভাইরাসের রেকর্ড সংক্রমণ হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত পাঁচ হাজার ১৮১ জন। গত বছরের ২ জুলাই করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন চার হাজার ১৯ জন। এরপর এটিই সর্বোচ্চ। এছাড়া এই ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয় ৪৫ জনের।