নিজস্ব প্রতিবেদক: আম্পানের তান্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ায় প্রাণহানি কিংবা আহত হওয়ার থেকে বেঁচে গেছেন অনেকেই। তারপরও এখন পর্যন্ত আম্পানের দেশে ১০ জন নিহত হওয়ার খবর এসেছে।
যে কোনো ঘূর্ণিঝড়েই গাছ চাপা পড়ে মারা যাওয়ার ঘটনা বেশি ঘটে। এবারও তাই হয়েছে। জানা গেছে, মৃত দশজনের মধ্যে ৬ জনই মারা গেছেন গাছের নিচে চাপা পড়ে। ভোলায় ২, চৌগাছায় ২, পটুয়াখালীতে ২, সাতক্ষীরায় ১, বরগুনায় ১, সন্দ্বীপে ১ ও পিরোজপুরে ১ জন মারা যান।
যশোরের চৌগাছার চাঁদপুর গ্রামে মা ও মেয়ে মারা যান গাছ চাপায়। তারা ঘরেই ছিলেন, প্রচণ্ড গতির বাতাসে ঘরের ওপর একটি বড় গাছ ভেঙে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে মারা যান মা খ্যান্ত বেগম ও মেয়ে রাবেয়া। পটুয়াখালীর দুজনের মধ্যে রয়েছে ৬ বছরের এক শিশু, গাছের ঢাল ভেঙে পড়ে মারা যান রাশেদ (৬)। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্পান নিয়ে মানুষকে সতর্ক করতে গিয়ে মারা যান শাহ আলম মীর নামের এক সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) কর্মী। ভোলায় ট্রলার ডুবিতে মারা যান রফিকুল ইসলাম (৩৫) এবং গাছ চাপা পড়ে মারা যান ৭০ বছর বয়সী সিদ্দিক ফকির।
আম কুড়াতে গিয়ে সাতক্ষীরায় নিহত হয়েছেন এক নারী। সন্দ্বীপে জোয়ারে ভাসতে থাকা সালাউদ্দিন নামের এক তরুণের মৃতদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পিরোজপুরে দেয়াল ধ্বসে মারা গেছেন শাজাহান মোল্যা নামের একজন। বরগুনায় পানিতে ডুবে মারা গেছেন মোহাম্মদ শহীদ নামের এক লোক।