নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমরা চাই না পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য অপকর্মে লিপ্ত হন। কেউ অনৈতিক কাজে জড়িত হলে তা বরদাশত করা হবে না। আমরা খারাপ কাজের মাধ্যমে সংবাদ হতে চাই না, নিজেরা ভালো কাজ করে সংবাদের যোগান দিতে চাই।
পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে সোমবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে শিল্ড প্যারেড, এবং মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও চোরাচালান দ্রব্য উদ্ধারে সাফল্য অর্জনকারী বিভিন্ন ইউনিটের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা চাই না পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য অপকর্মে লিপ্ত হোন। আমাদের পুলিশ বাহিনীর প্রতি সদস্যের জন্য সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
একইভাবে যদি পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য বাহিনীর জন্য অসম্মান-অপমান বয়ে নিয়ে আসেন, শরীরের কোনো জায়গায় পচন ধরলে যেমন কেটে ফেলে হয়, তেমনভাবে আমরা তাকে পরিত্যাগ করব। তার জন্য পুলিশ বাহিনীতে কোনো আশ্রয় নেই।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আইজিপি বলেন, কোন পুলিশ সদস্য কোন ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িত হলে তা বরদাশত করা হবে না। আমরা পুলিশের প্রতিটি সদস্যের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী ন্যায়সঙ্গত ও ন্যায্য কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, আমরা খারাপ কাজের মাধ্যমে সংবাদ হতে চাই না, নিজেরা ভালো কাজ করে সংবাদের যোগান দিতে চাই।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে ২০৪১ সালের উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
জঙ্গি ও মাদকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সেই শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি বাস্তবায়ন করছি। যখনই আমাদের দেশে জঙ্গিবাদ হানা দিয়েছে তখনই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তা দমন করেছি।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূল করতে হবে। এছাড়া মাদক নির্মূলে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
যুব সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশ মাদক উৎপাদন করে না। কিন্তু আমরা কেন মাদকের শিকার হবো। যুব সমাজকে তা উপলব্ধি করতে হবে।
যুবকদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ যুব সমাজকে হাতছানি দিচ্ছে। আমাদেরকে অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে।
করোনাকালে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, করোনা অতিমারিতে পুলিশ এক মহাকাব্যিক ভূমিকা পালন করেছে। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে পুলিশ সদস্যরা জনগণের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দেয়া, খাবার পৌঁছে দেয়া, কৃষকের ধান কাটার ব্যবস্থা করা, এমনকি করোনায় কেউ মারা গেলে যখন আত্মীয়-স্বজনরা লাশ ফেলে চলে গেছে তখন পুলিশ লাশ দাফন ও সৎকার করেছেন।
আইজিপি বলেন, করোনাকালে ১০৬ জন পুলিশ সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। ২৭ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই আবার সুস্থ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেছেন।
এসময় তিনি অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান দ্রব্য উদ্ধারে সাফল্য অর্জনকারী ইউনিটসমূহকে ধন্যবাদ জানান। অন্যান্য ইউনিটসমূহকেও এক্ষেত্রে আরও তৎপর হওয়ার আহবান জানান আইজিপি।