আমদানির ঘোষণাতেই পেঁয়াজের দাম কমল ২০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত থেকে আমদানির ঘোষণাতেই পেঁয়াজের দাম কমে কেজি ৭৫ টাকায় নেমেছে। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে গতকাল রবিবার বিকেলে যেই পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা ছাড়িয়েছিল, সেই একই পেঁয়াজ আজ সোমবার দিনের শুরুতেই কেজি ৭৫ টাকায় বিক্রির জন্য দর দেওয়া হয়েছে। তবে এই পেঁয়াজের ক্রেতা মিলছে না।

মূলত ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির খবরেই আড়তে দাম কমে গেছে।

কিন্তু দাম আরো কমে যাবে এই শঙ্কায় খুচরা ব্যবসায়ীরা আড়ত থেকে পেঁয়াজ কিনতে চাইছেন না। এর ফলে যেই দাম দেয়াই হোক পাইকারি বাজারে ক্রেতা মিলছে না। কারণ আড়ত থেকে পেঁয়াজ কেনে মূলত খুচরা ব্যবসায়িরা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ী খুচরা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখনই আড়ত থেকে পেঁয়াজ কিনলে আমি প্রতিযোগিতায় খুচরা ক্রেতা হারাবো নিশ্চিত। কারণ এখন বাড়তি দামে কিনে বিক্রি করতে গেলে দাম বেশি পড়বে। চিন্তা করছি কয়েকদিন দেখেই আড়ত থেকে পেঁয়াজ কিনব।’

তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ ৪০ থেকে যখন ৯০ টাকায় পৌঁছল, এরপর থেকেই আড়ত থেকে বেশি পেঁয়াজ কিনে রাখার সুযোগ নেই। কারণ পেঁয়াজ পঁচনশীল পণ্য।

সেগুলো জমিয়ে রাখলে আমাদেরই ক্ষতি। আর দাম বাড়ার পর পেঁয়াজ কিনতে বেশি পুঁজি খাটাতে হচ্ছে কিন্তু লাভ সীমিত।’ খুচরা বিক্রেতারা কিনতে না আসায় খাতুনগঞ্জের পাইকারিতে আজ সোমবার সকাল থেকেই ক্রেতা মিলছে না।
আড়তদার মোহাম্মদ ইদ্রিস কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘‌ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার আগেই বাজার পড়ে গেছে। গতকাল রবিবার বিকালে কেজি ৯০ টাকার বেশি বিক্রি করা পেঁয়াজ আজকে সকালে ৭৫ টাকা দর দিয়েছি কিন্তু কোনো ক্রেতা নেই।

বিকেল নাগাদ দাম আরো কমবে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ আসলে দাম আরো কমে যাবে এই শঙ্কায় খুচরা ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কিনতে চাইছে না।’ এদিকে সরকার আজ সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র বা আইপি দিতে শুরু করেছে। যত আবেদন ছিল সকালেই সব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘‌আমি ৫ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির আইপি পেয়েছি সকালেই। ভারতীয় সরবরাহকারীকে বলে রেখেছিলাম, যাতে আইপি হাতে আসা মাত্রই দুপুর নাগাদ পেঁয়াজ দেশে ঢুকাতে পারি। কিন্তু আইপিতে টেকনিক্যাল ত্রুটি থাকায় সকালেই আনা সম্ভব হয়নি। আশা করছি সন্ধ্যা নাগাদ কিছু পেঁয়াজ দেশে ঢুকবে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title