‘অখণ্ড ভারত’ মানচিত্রের ব্যাখ্যা চাইতে হাইকমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: দিল্লিতে নবনির্মিত সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারতের’ মানচিত্রে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশকে ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে ব্যাখ্যা চাইতে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

এই নির্দেশ দেওয়ার কথা আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

‘অখণ্ড ভারত’ মানচিত্রে বাংলাদেশকে ভারতের অংশ দেখানোর বিষয়টি উল্লেখ করে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার কোনো কারণ নেই। তারপরও বাড়তি ব্যাখ্যার জন্য দিল্লি মিশনকে বলেছি, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে, তাদের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা কী, তা জানার জন্য।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁরা বলেছেন, এটি খ্রিষ্টের জন্মের তিনশ বছর আগের রাজা অশোকের সাম্রাজ্যের মানচিত্র। এটি একটি ম্যুরাল। এতে মানুষের জীবনযাত্রার চিত্রায়ণ করা হয়েছে। এখানে সাংস্কৃতিক মিল থাকতে পারে। কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।’

‘অখণ্ড ভারত’ মানচিত্রের পেছনে কুমতলব থাকলে খেসারত দিতে হবে: কাদের সিদ্দিকী‘অখণ্ড ভারত’ মানচিত্রের পেছনে কুমতলব থাকলে খেসারত দিতে হবে: কাদের সিদ্দিকী

উল্লেখ্য, সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া ভারতের নতুন সংসদ ভবনে একটি ‘অখণ্ড ভারত’–এর মানচিত্র রাখা হয়েছে। সেখানে আফগানিস্তান থেকে শুরু করে পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কা– এসব দেশকে দেখানো হয়েছে।

‘অখণ্ড ভারত’-এর ধারণাটি মূলত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) মতাদর্শের অন্যতম অংশ। এই ধারণায় বলা হয়ে থাকে, প্রাচীন কালে ইরান থেকে বর্তমানের মিয়ানমার, উত্তরে তিব্বত, নেপাল, ভূটান আর দক্ষিণে বর্তমানের শ্রীলঙ্কা— সবই অখণ্ড ভারতের অন্তর্ভুক্ত।

এ নিয়ে এরই মধ্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নেপাল। সমালোচনা চলছে খোদ ভারতেও।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title