বগুড়া প্রতিনিধি: জেলার ধুনট উপজেলায় ৮ বছরের শিশু তাবাসসুমকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত তাবাসসুম ধুনট উপজেলার নশরতপুর গ্রামের বেলাল হোসেন খোকনের মেয়ে।
২৬ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ধুনট উপজেলার নশরতপুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে বাপ্পি আহম্মেদ (২২), দলিল উদ্দিন তালুকদারের ছেলে কামাল পাশা (৩৫), সানোয়ার হোসেনের ছেলে শামীম রেজা (২২) এবং মৃত সাহেব আলী শেখের ছেলে লাবলু শেখ (২১)।
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, আসামী বাপ্পীর পরিবারের সাথে শিশু তাবাসসুমের বাবার সাথে পারিবারিক দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। এই দ্ব›েদ্বর রেশ ধরে তাবাসসুমকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করে বাপ্পী। গত ১৪ ডিসেম্বর নশরতপুর গ্রামে ইসলামী জালসা চলছিল। সেখানে তাবাসসুম তার দাদা-দাদী ও দুই ফুফুর সাথে জালসায় যায়। সেখানে তাবাসসুম অন্য শিশুদের সাথে পাশের দোকানে বেলুন কিনতে যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাপ্পি রাত ৯টার দিকে জালসার পাশের দোকান থেকে বাদাম কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে তাবাসসুমকে ফুসলিয়ে হাজী কাজেম জুবেদা টেকনিক্যাল কলেজে নিয়ে যায় সেখানে বাপ্পি কামাল, শামীম ও লাবলু তাবাসসুমের মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে নিস্তেজ হয়ে পড়লে বাপ্পি গলা টিপে তাবাসসুমকে হত্যা করে।
পরে ১৫ ডিসেম্বর তাবাসসুমের বাবা খোকন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন। তারপরেই পুলিশ মাঠে নামে।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, ৮ বছর বয়সী শিশু ধর্ষন ও হত্যার পর থেকেই পুলিশ তৎপর থেকেছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদের তত্ত¡াবধানে আমার নিজ নেতৃত্বে একটি টিম নিরসলভাবে হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। পরে ২৫ ডিসেম্বর রাতে আসামীদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাবাসসুমকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে।