সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১০ ই ডিসেম্বরই অনুষ্ঠিত হবে ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচন
আনিচুর রহমান, ফরিদপুর : সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মাঝ পথে থমকে যাওয়া ফরিদপুর পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত কাঙ্খিত সেই পৌরসভা নির্বাচন আগামী ১০ ই ডিসেম্বরই অনুষ্ঠিত হবে বলে হাইকোর্ট রায় ঘোষনা করেছে।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এদিকে মহামান্য হাইকোর্টের এ রায়কে কেন্দ্র করে ঝিমিয়ে পড়া সকল প্রার্থীদের মাঝে পুনরায় টানটান উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। শহর এখন সাজ সাজ রব, প্রত্যেকটা অলিগলি সহ বিভিন্ন পাড়ায় মহল্লায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের চলছে প্রচার প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রতিটি মোড়ে চলছে প্রার্থীদের গণসংযোগ।
প্রসঙ্গত এর আগে গত বুধবার দুপুরে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচন ৬ মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দেন।
এই নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ফরিদপুর পৌরসভার বর্ধিত এলাকার ভোটার মো. আতিয়ার রহমান। রিটের শুনানি নিয়ে নির্বাচন স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করে। রুলে ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশন হিসেবে উন্নীত করণ প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় গত ৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
উলেখ্য ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ফরিদপুর পৌরসভায় বর্দ্ধিত এলাকার সমন্বয়ে ৬৬ দশমিক ৫৪ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে, বর্তমানে ২৭টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে প্রায় ১৯৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে মেয়র প্রার্থী মাত্র তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ থেকে অমিতাভ বোস, জাতীয়তাবাদী দল থেকে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ আহমেদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন থেকেহাফেজ মোঃ আব্দুস সালাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
২০১৯ সালের হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এখানে ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১ হাজার ৭৮৬ এবং নারী ৭৬ হাজার ৫৭১ জন। সর্বশেষ ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ফরিদপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরশেন ঘোষণা করা হবে এমন একটি উদ্যোগের কারণে গত ২০১৬ সালে ফরিদপুর পৌরসভার নির্ধারিত নির্বাচন স্থগিত করা হয়।