আবু রায়হানঃ নাটক নয় – বিচার চাই – সমান যদি হয় আইনের ধার শির্ষক শ্লোগানে ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে খাদাইল উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বাজারের প্রধাণ সড়কে নওগাঁ জেলার বদলগাঁছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের পূর্ব খাদাইল গ্রামের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান (মিরু) এর অপহরণ হত্যা ও মদদ দাতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে অবরোধ / মানববন্ধন সকর্মসূচি পালন করেছে উত্তাল এলাকাবাসী, ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দরা।
জানা গেছে, অপহরনের পাঁচদিন পর জয়পুরহাটের আক্কেলপুর মহিলা কলেজ থেকে কিছু দূরে রেললাইনের পাশে ডোবা থেকে নওগাঁ জেলার বদলগাঁছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের পূর্ব খাদাইল গ্রামের আলামিন হোসেনের ৯ম শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে নাজমুল হাসানের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
ঘটনা ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর খাদাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন (১৪) কে অপহরন করে মুঠোফোনে অপহৃত নাজমুলের পিতার নিকট ১৫ লক্ষটা দাবি করলে তাৎক্ষণিকভাবে সন্তানকে উদ্ধারের জন্য বিকাশে কিছু টাকা দিতে চাইলেও অপহরণকারীরা রাজি না হয়ে নাজমুল হোসেন কে হত্যা করে কোন একসময় বস্তা বন্দী অবস্থায় আক্কেলপুর উপজেধীন মহিলা কলেজ থেকে কিছু দূরে রেললাইনের পশ্চিম পার্শে একটি ডোবায় ফেলে দিলে ১০ নভেম্বর সকালে স্থানীয় কৃষকরা মাঠে ধান কাটতে যাওয়ার সময় ডোবায় পরে থাকা বস্তাটি দেখে সন্দেহ হলে আক্কেলপুর থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে থানা পুলিশ বস্তা বন্দী মরদেহটি উদ্ধার করে।
পরে বস্তা থেকে মরদেহটি বের করে দেখা যায়, অত্যান্ত নির্মমভাবে নাজমুল হাসানের মুখমণ্ডলে ছুরিকাঘাত করে তার হাত ও পা কেটে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।
এমন নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জরিত মদদ দাতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সর্বদলীয় রাজনৈতিক স্থানীয় নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধী, খাদাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারি ও শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার উত্তাল এলাকাবাসী মানববন্ধন এবং অবরোধ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অপহরণ ও হত্যাকান্ডের বিষয়ে বদলগাঁছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, উপরোক্ত ঘটনায় ২ জন নারী ও ৩ জন পুরুষসহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপহরণ করে হত্যা ও মদদ দাতাদের চিন্হিত করে শিঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।